সংক্ষিপ্ত
- করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরছে কামালগাছি বাজার
- কামালগাছি মসজিতের উল্টোদিকের মাঠে অস্থায়ী বাজার খোলার সিদ্ধান্ত
- সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সাদা রঙের গন্ডি আঁকা হচ্ছে
- এলাকাকে গ্রীণ জোন বানানোই অন্য়তম লক্ষ্য়, জানালেন কাউন্সিলর
করোনার সংক্রমণ রুখতে রাজ্য়জুড়ে চলছে দীর্ঘ লকডাউন। আর সেই লকডাউনে অনেকে মনের সুখে বাজার করতে বেরোচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্য়েই হয়তো তাঁরা বেরোচ্ছেন। তবে অধিকসংখ্য়ার ক্রেতা একই সময়ে-একই জায়গায় উপস্থিত হওয়ায় বাজার থেকে সংক্রমণের একটা বড় সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। সেই কারণেই এবার রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার অন্তর্গত কামালগাছি বাজারকেও এবার অন্য়ত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে বিস্তারিত জানালেন আমাদের সংবাদমাধ্য়কে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল আলি মন্ডল।
আরও পড়ুন, করোনার কোপ এবার বাইপাসের ধারের বস্তিতে, ১৫০০০ মানুষকে পাঠানো হল কোয়ারেনন্টিনে
কামালগাছি বাজারে সবজি-মাছ-মাংস ইত্য়াদি সহ মোট ১১৭ জন বিক্রেতা রয়েছেন। তাদের প্রত্য়েকেই কামালগাছি মসজিদের উল্টোদিকে একটি মাঠে বসিয়ে অস্থায়ীভাবে বাজার খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন, জল-সংষ্কৃতি-ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বে থাকা ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল আলি মন্ডল। এবং ওই অস্থায়ী বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সাদা রঙ দিয়ে গন্ডি আঁকা হচ্ছে। চলছে জীবাণুমক্তকরণের কাজ। তিনি আরও জানালেন তাঁদের এলাকা ইতিমধ্য়েই অরেঞ্জজোন এর অন্তর্ভুক্ত। এলাকাকে গ্রিন জোন বানানোই তাদের অন্য়তম লক্ষ্য়। তবে এই বিশাল বড় কর্মকাণ্ডে তাঁদের সঙ্গে আছেন নরেন্দ্রপুর থানা পাশাপাশি এসডিও।
আরও পড়ুন, ভেন্টিলেশনে করোনা আক্রান্ত রাজ্য়ের স্বাস্থ্য কর্তা ও সার্জন, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি নজরদারি। এলাকায় কোনও বিনা প্রয়োজনে লোক ঘোরাঘুরি করলেই পুলিশের তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১, ৪, ৬, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪ এই এলাকাগুলি কলকাতা পুর-সংলগ্ন হওয়ায় এখানে বাড়তি নজরদারি চালানো হবে। বন্ধ থাকবে মাছ ও সব্জির দোকান। তবে এই সমস্ত এলাকায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬ অবধি খোলা থাকবে ওষুধ ও মুদিখানার দোকান।
এবার মেডিক্য়ালে করোনার কোপে ৭ চিকিৎসক, পরিষেবা নিয়েই চিন্তায় হাসপাতাল
করোনা পাচ্ছে এবার ভয়, যদু বাবুর বাজারে গেট বসালেন মেয়র