২০২২ সালের ১১ আগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর তাঁকে রাখা হয়েছিল বীরভূমের জেলে। সেখান থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে।
একদা বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিবিআই হেফাজতে। বারবার জামিনের আর্জি জানালেও, স্বস্তি পাচ্ছেন না এই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা।
বীরভূমে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের তোরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছবির শূন্যস্থানে রাখা হল কাজল শেখের ছবি। কোথাও দেখা গেল না অনুব্রত মণ্ডলের মুখ।
বেশ কিছুদিন ধরেই বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট-সহ আরও কিছু সমস্যায় ভুগছেন তিনি। এবার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে।
যে জামিনের জন্য যে কোনও শর্ত মানতে রাজি বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রতর জামিন সংক্রান্ত মামলা শুনানি ছিল।
উল্লেখ্য তৃণমূলের বিভিন্ন সভাতেও সম্প্রতি দেখা যায়নি অনুব্রতর ছবি। এমনকী 'নবজোয়ার' কর্মসূচিতেও কোথাও নেই অনুব্রত।
বুধবার জানা গিয়েছে কেষ্ট ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সমস্ত সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। গরু পাচার মামলার শুরু থেকেই অনুব্রতর একাধিক হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল।
শনিবারের পর আবার এক শনিবার। আজ সকালেই দিল্লির তিহাড় জেলে আরও একবার নিজের মেয়ের মুখোমুখি হলেন অনুব্রত মণ্ডল।
একই জায়গায় থাকলেও মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়না কেষ্টর। আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে একবার আধ ঘন্টার জ্য একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। এই শনিবারও দ্বিতীয়বারের মতো অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন সুকন্যা।
দীর্ঘদিন পর মেয়েকে দেখে অবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দোর্দন্ডপ্রতাপ অনুব্রত। সুকন্যাকে জড়িয়ে ধরেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথাবার্তা চলে বাবা-মেয়ের মধ্যে।