জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ভয়াবহ দাবানল, ভষ্মীভূত 'তোর্সার ঘাসবন'

Published : Mar 03, 2020, 02:43 PM ISTUpdated : Mar 03, 2020, 02:47 PM IST
জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ভয়াবহ দাবানল, ভষ্মীভূত 'তোর্সার ঘাসবন'

সংক্ষিপ্ত

দাবানলের গ্রাসে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ভূষ্মীভূত হয়ে গেল বিস্তীর্ণ তৃণভূমি প্রাণহানির কোনও খবর নেই উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা

জ্বলন্ত বিড়ির টুকরো থেকেই কী ঘটল বিপত্তি? বিধ্বংসী দাবানলের গ্রাসে জলদাপাড়ায় অভয়ারণ্য। আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে গেল বিস্তীর্ণ তৃণভূমি। তবে বনকর্মী, দমকলের তৎপরতায় বড় কোনও অঘটন ঘটেনি।

আরও পড়ুন: বন্যজন্তুদের মৃত্যুমিছিল, জলদাপাড়ায় হাতি সাফারি বন্ধের সিদ্ধান্ত বনদপ্তরের

জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে আগুন লেগে যায় জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের মালঙ্গি বিট এলাকায়। জঙ্গলের শুকনো পাতা ও খড়কুটোয় আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। চোখের নিমেষে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে তোর্সা নদীর চরের বিস্তীর্ণ তৃণমূল। আগুনে লেলিহান শিখায় লাল হয়ে যায় আকাশ! ঘটনাটি টের পেয়ে প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন বনবস্তির বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। কিন্ত ততক্ষণে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত খবর দেওয়া হয় দমকলের অফিসেও। আগুন নেভানো সম্ভব হয় গভীর রাতে। 

আরও পড়ুন বক্সার ছাপোষা ট্যুর গাইড-এ মজলেন হ্যারি পটার খ্যাত রাউলিং, আসছে নতুন উপন্যাস

বনদপ্তর সূত্রে খবর, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের ভিতরে তোর্সার নদীর চরের এই তৃণভূমি গন্ডারের বিচরণক্ষেত্র। কিন্তু শীতের শেষে যখন ঘাস শুকিয়ে যায়, তখন নদীর চর ছেড়ে গন্ডাররা সরিয়ে আসে জঙ্গলের দিকে। সেক্ষেত্রে অন্য সময়ে আগুন লাগলে গন্ডারদের মৃত্যু আশঙ্কা ছিল। তবে দাবানলে বেশ কয়েকটি ছোটখাটো জন্তু মারা গিয়েছে। তেমনই অনুমান বন দপ্তরের আধিকারিকদের।  জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে এমন ভয়াবহ আগুন লাগাল কী করে? জানা গিয়েছে, বসন্তের শুরুতে শুকনো পাতায় ভরে ওঠে জঙ্গল। সেই পাতা ও ঘাস সংগ্রহ করতে জঙ্গলে ঢোকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকেই আবার তোর্সা নদীতে ছিপ ফেলে মাছও ধরে। জলদাপাড়ার ডিএফও কুমার বিমল বলেন, 'নদীতে মাছ ধরতে এসে কেউ জ্বলন্ত বিড়ির টুকরো ছুড়ে ফেলেছিলেন। তার থেকেই আগুন লাগে। প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হেক্টর জমির জঙ্গল  ভস্মীভূত হয়েছে।'

 

 
 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

মমতার পথশ্রী প্রকল্পকে ঢপের চপ আখ্যা শুভেন্দুর, দেখুন কেন এমন বলছেন?
বঙ্গে ডিটেনশন ক্যাম্পের প্রয়োজন নেই, মমতার মন্তব্যের পাল্টা জবাব শুভেন্দু অধিকারীর