মারণরোগ অ্যানথ্র্যাক্স-এর প্রকোপ দেখা দিল নাতো? মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্য়বধানে দুটি গণ্ডারের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে। অসুস্থ অবস্থায় আরও একটি পূর্ণবয়ষ্ক গণ্ডার ও শাবককে উদ্ধার করেছে বনকর্মীরা। মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে প্রাণীগুলির চিকিৎসা করা হচ্ছে। মৃত গণ্ডারদের দেহাংশ ও নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে।
বুধবার একটি পূর্ণবয়ষ্ক গণ্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার হয় জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে। ঘটনায় নড়চড়ে বসে বনদপ্তর। রাতে জঙ্গলে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়। ফলও মেলে হাতেনাতেই। রাতে ইস্ট রেঞ্চের সিধাবাড়ি এলাকা থেকে আরও একটি স্ত্রী গণ্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার করে বনকর্মীরা। উদ্ধার করা হয় মা-হারা শাবকটিকেও। বৃহস্পতিবার সকালে আবার খবর আসে, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের মালঙ্গী রেঞ্জে আরও একটি গণ্ডার অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে! এরপরই রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বনকর্মীদের গুলিতে যুবকের মৃত্যু, অগ্নিগর্ভ কালচিনি
জলদাপাড়ায় কেন একের পর এক গণ্ডার মারা যাচ্ছে? প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অ্যানথ্র্যাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে বন্যপ্রাণীগুলি। তবে এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। বনদপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে যে গণ্ডারটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, তার চিকিৎসার জন্য বাইরে থেকে পশু চিকিৎসকদের এনে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। মৃত প্রাণীগুলি দেহাংশ ও নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতার বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। উল্লেখ্য, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে প্রায় আড়াইশোটি একশৃঙ্গ গণ্ডারের বাস। সেক্ষেত্রে অ্যানথ্র্যাক্স-এর আতঙ্কই যদি শেষপর্যন্ত সত্যি হয়, তাহলে কী হবে? ভেবেই শিউরে উঠছেন পশুপ্রেমীরা।