মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত নাটক চলছেই। এদিন সকালে শিবসেনার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হল তাদের বিজয়ী বিধায়কদের। একনাথ শিন্ডে-কে পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হল। এরপর শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। জোটসঙ্গী বিজেপি-কে বাদ দিয়ে এককভাবে তাদের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে কেউই এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না।
মহারাষ্ট্রে ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই আদিত্য ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলেছেন শিবসেনা নেতারা। এদিন মুম্বইয়ে দলের বিজয়ী বিধায়কদের বৈঠকে কিন্তু আদিত্য ঠাকরেই পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে একনাথ শিন্ডের নাম প্রস্তাব করেন। সকলেই তাতে সম্মতি জানান। এরপরই শিবসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয় দুপুর সাড়ে তিনটের সময় আদিত্য ঠাকরে, একনাথ শিন্ডে, দিবাকর রাওতে, সুভাষ দেশাই প্রমুখ শিবসেনা নেতারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন।
এই সাক্ষাত নিয়েই আপাতত রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা চলছে। বুধবার রাতে শোনা গিয়েছিল, এনডিএ-র দুই শরিক দলের মধ্য়ে এই দড়ি টানাটানির অবসান হতে চলেছে। নমনীয় হয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি ছাড়তে পারে শিবসেনা। কিন্তু তারপর ফের মন্ত্রীসভার আসন নিয়ে দ্বিমত দেখা দিয়েছে দুই দলের মধ্যে।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র মন্ত্রীসভায় ১৮টি দপ্তর দাবি করেছে, আর বিজেপি ছাড়তে চাইছে ১৪টি মন্ত্রক। সেই সঙ্গে শিবসেনা স্বরাষ্ট্র ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক চাইছে। কিন্তু এই মন্ত্রকগুলি নিজের কাছেই রাখতে চান মুখ্য়মন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বদলে বিজেপি শিবসেনাকে, রাজস্ব ও অর্থ, পিডব্লুডি-এর মতো মন্ত্রক দিতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এর আগের মন্ত্রীসভায় পিডব্লুডি মন্ত্রীই ছিলেন শিবসেনার এইবারের মনোনীত পরিষদীয় দলের নেতা একনাথ শিন্ডে।
এই সব দ্বন্দ্ব মেটার আগেই এককভাবে কেন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করছে শিবসেনা, আপাতত সেই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজছে মহারাষ্ট্র। তবে কি বিজেপির হাত ছাড়তে চলেছে শিবসেনা?