বৃহস্পতিবার হরিয়ানা বিধানসভায় ভোটের ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে বিজেপির কাছের মানুষ হয়ে উঠছে হরিয়ানা লোকহিত পার্টির নেতা গোপাল কান্দা। ভোটের ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পরেই হরিয়ানার অন্যান্য দলের বিধায়কদের সঙ্গে কান্দাও দিল্লি যান। দিল্লিতে তাঁরা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিমানসেবিকা গীতিকা শর্মার ভাই। তিনি জানিয়েছেন, কোনও অপরাধী ক্ষমতায় এলে, দেশের বা রাজ্যের কোনও দিন কোনও উন্নতি হয় না।
এত বিবৃতিতে গীতিকা শর্মার ভাই জানিয়েছেন, গোপাল কান্দার মতো অপরাধী সমাজের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে এমন একজন ব্যক্তি যাঁর বিরুদ্ধে একটি মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা চলছে। অঙ্কিত শর্মা মন্তব্য করেছেন, ' গোপাল কান্দা আগে বহুবার তার বিরুদ্ধে থাকা অনেক প্রমাণ নষ্ট করে দিয়েছেন। এবার সে যদি ক্ষমতায় থাকে, আরও সহজেই তার বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করতে পারবে। তখন আমরা কোনওভাবেই এই লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারব না। কান্দা হরিয়ানার মন্ত্রী হলে ক্ষমতার অপব্যবহার করবে। যার জেরে আমরা কোনও ভাবেই আদালতের লড়াইয়ে যেতে পারব না।'
ব্যর্থ জুতো ব্যবসায়ী থেকে বিতর্কিত নেতা, সরকার গড়তে কান্দাই ভরসা বিজেপি-র
২০১২ সালে গীতিকা দিল্লিতে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে গীতিকা দুটি সুইসসাইড নোট লিখে যান। সেখানে এমডিএলআর এয়ারলাইন্সের মালিক গোপাল কান্দা এবং অন্য এক কর্মী অরুণা চাড্ডার নাম উল্লেখ করেন। গীতিকা জানিয়েছিলেন, কান্দা দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে যৌনহেনস্তা করে। সেই সময় হরিয়ানায় হুডার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন কান্দা। বিজেপির চাপে কান্দা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পুলিশ সেই সময় গ্রেফতার করে। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে কান্দা ২০১৪ সালে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। গীতিকার আত্মহত্যর খবর শুনে তাঁর মা অনুরাধাও আত্মহত্যা করেন।