উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে করবা চৌথ এক অতি জনপ্রীয় রীতি। এদিন স্বামীর মঙ্গল কামনায় সারাদিন উপোষ করেন মহিলারা। চাঁদ উঠলে স্বামীর হাত থেকে জল খেয়ে ভাঙেন উপবাস। এমনি দিনি নিজের স্বামীর সব স্বপ্ন ভেঙে দিলেন ললিতা।
যোধপুরের বিক্রমাদিত্য এলাকার বাসিন্দা বিজয়। চলতি বছর ১৭ এপ্রিল পালি জেলার ললিতার সঙ্গে বিয়ে হয় বিজয়ের। তাই বিয়ের প্রথম বছরে করবা চৌথের পুজোর জন্য স্ত্রী যখন বাজার থেকে পুজোর সামগ্রী ও মিষ্টি কিনে আনতে বলেন তখন বেশ খুশি হয়েছিল বিজয়। কিন্তু বাড়িতে ফিরে যা দেখলেন তার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। জানতে পারেন পালিয়েছেন ললিতা। যাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য এক পুরুষের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেছে সে, যেখানে ওই ব্যক্তিকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দিয়েছে ললিতা। এই ঘটনায় একেবারেই ভেঙে পড়েন বিজয়। ললিতা কেন আগে তাঁকে সব জানাল না এই প্রশ্নই বারবার ঘুরপার খেতে থাকে বিজয়ের মনে। করবা চৌথের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকা ললিতা কী এমন ঘটল যে পালিয়ে গেল তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিজয়।
চলতি বছর ১৭ এপ্রিল বিয়ে হয়েছিল বিজয় ও ললিতার। বিয়েতে প্রচুর খরচাও করেছিলেন বিজয়। এমনকি মেয়ের পরিবারকে দেড়লক্ষ টাকাও তিনি নগদ দেন। বিয়ের খরচও পুরোটাই করেছিলেন বিজয়। শুধু তাই নয় স্ত্রীর জন্য ৩০ ভরি সোনা ও রূপোর গয়নাও বানিয়েছিলেন। সেই গয়নার সবটাই নিয়ে পালিয়েছেন ললিতা।
বিজয়ের কথা অনুযায়ী বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। আনন্দেই ছিলেন দুজনে। কিন্তু বিয়ের প্রথম করবা চৌথে যখন স্ত্রীকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনছিলেন বিজয় তখনই ভেঙে গেল তাঁর সুখের দুনিয়া।
জানা যাচ্ছে শুধু বিজয়ই নয়, এর আগেও দুটি বিয়ে করেছিলেন ললিতা। বিয়ে করে বরের সম্পত্তি নিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়াটাই তাঁর পেশা। ললিতার খোঁজে অনেক জায়গাতেই ঘুরে বেড়িয়েছেন বিজয়। শেষপর্যন্ত নেথানা থানায় নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।