বাস্তুশাস্ত্র, এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বাস্তুবিদ্যা কালের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জয়ী হয়েছে। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্য শাস্ত্রের সূত্রগুলো পরবর্তিকালে 'বাস্তুশাস্ত্র' শিরোনামে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বৈদিক যুগে স্থাপত্য বিজ্ঞান মূলত মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে তা বিস্তার লাভ করে। প্রাচীন যুগে স্থপতিরা কেবল নিছক তৈরির কাজ করতেন না, নির্মাণশৈলী ও পরিকল্পনার বিষয়টিও তদারক করতে হত তাঁদের।
আরও পড়ুন- আগামী বছরে কেমন হবে কর্কট রাশির কর্মজীবন, জেনে নিন
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর ও দক্ষিণ-এই চারটি দিকে চার দেবতার বাস রয়েছে। আর এই চারদিকের উপর মানুষেক সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ অনেকটাই নির্ভর করে। বলা হয় আট দিকের এক-একজন দেবতা অধিষ্ঠান করছেন। কেন দিকে কোন দেবতা অধিষ্ঠিত, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক৷
পূর্ব দিক- এই দিকের দেবতা হলেন ইন্দ্র ও সূর্য৷ এই কারণেই বাস্তু শাস্ত্রমত, বাড়ি তৈরির সময়ে পূর্ব দিকটি খোলামেলা রাখা প্রয়োজন৷ এতে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
পশ্চিম দিক- এই দিকের অধিষ্ঠাতা দেবতা হলেন বিষ্ণু। জীবনে প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধির দিক হল এই পশ্চিম দিক। তাই বাস্তু শাস্ত্র মতে, বাড়ির পশ্চিম দিক খুব একটা খোলামেলা না রাখলেও চলে।
আরও পড়ুন- রবিবার কেমন কাটবে আপনার, দেখে নিন আজকের রাশিফল
উত্তর দিক- বাস্তুমতে উত্তর দিক অত্যন্ত শুভ৷ এই দিকের অধিষ্ঠাতা দেবতা হলেন কুবের৷ সেই কারণে উত্তর দিক অর্থ, প্রতিপত্তি ও পেশাগত সাফল্যের দিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ঘরের উত্তর দিক সবসময় খোলামেলা রাখা উচিত এবং সেই সঙ্গে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার পরামর্শ দেয় বাস্তুশাস্ত্র। আরও বলা হয় যে, উত্তরদিকে সর্বদা একটা শুভ শক্তি বিরাজ করে।
দক্ষিণ দিক- এই দিকের অধিষ্ঠাতা দেবতা হলেন যম৷ তাই বাস্তুশাস্ত্র মতে, ঘরের দক্ষিণ দিকের দেওয়াল বন্ধ থাকলে অর্থ ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।