জ্যোতিষশাস্ত্র এমন একটি বিজ্ঞান যা নভোমণ্ডলে বিভিন্ন জ্যোতিষ্ক অর্থাৎ গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিবেচনা করতঃ মানুষের ভাগ্যগণনা তথা ভাগ্য নিরূপণ করে। যারা এরূপে ভাগ্য গণনা করে তাদের বলা হয় জ্যোতিষ। জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রয়োগসূত্রগুলি কেবল সম্ভাবনা নির্দেশ করে, কিন্তু কোন নিশ্চিত ঘটনার কথা বলে না। তার কারণ এই যে জ্যোতিষীগণ মনে করেন মানুষ সচেতন কর্মের সাহায্যে অথবা ঈশ্বরের আশীর্বাদে অথবা এই দুইয়ের মিশ্রিতফলে ভাগ্য অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবর্তন করতে পারে। এই নিশ্চয়তার তারতম্যের কারণে অনেক বিজ্ঞানী জ্যোতিষশাস্ত্রকে মান্যতা দেন না।
আরও পড়ুন- শুধু মনে রাখুন এই সহজ নিয়মগুলি, বাড়িকে রাখুন বাস্তুদোষ মুক্ত
অনেক সংস্কৃতির মধ্যেই জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয়, চীনা ও মায়া সভ্যতার অধিবাসীগণ মহাকাশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পার্থিব ঘটনাগুলির ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এই বিষয়ের চর্চা এবং উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। পশ্চিমে, জ্যোতিষশাস্ত্র প্রায়ই একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের ব্যাখ্যা করার জন্য এবং তার জন্মের সময় সূর্য, চন্দ্র, এবং অন্যান্য জ্যোতিষ্কগুলির অবস্থানের উপর ভিত্তি করে তার জীবনের ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য ব্যবহৃত হত। দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময় সম্পর্কে সমস্যা দেখা দিতে পারে কিন্তু তাই বলে সামান্য় তর্ক বা ঝগড়া একটা সম্পর্কের ভাঙনের কারণ হতে পারে ৷ তবে জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে আপনার সম্পর্ক সারাজীবন টিকিয়ে রাখতে রাশি অনুযায়ী সঙ্গী বেছে নিন। একটা ভালো সম্পর্ক টিকবে কিনা তা অনেকটাই নির্ভর করে উভয়ের রাশির উপর।
আরও পড়ুন- ডিসেম্বর মাসে কোন রাশির সুখভাগ্য কেমন থাকবে, জেনে নিন
মেষ রাশির জাতক-জাতিকার সঙ্গে এই রাশির সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। এদের জন্য সিংহ, ধনু উপযুক্ত। মেষ ও সিংহের রসায়ন শুভ হয়। এই সম্পর্ক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বৃষ রাশির জাতক-জাতিকার জন্য উপযুক্ত রাশি হল কন্যা রাশির জাতক-জাতিকা। অনেক ক্ষেত্রে আবার উভয় বৃষ রাশির সম্পর্কও শুভ হয়। মিথুন রাশির সঙ্গে তুলা ও সিংহ রাশির সম্পর্ক গভীর হয়। এই রাশির সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ এবং কর্কট। কর্কট রাশির উপযুক্ত সঙ্গী রাশি হল কন্যা। জীবনসঙ্গী হিসেবে কন্যা রাশিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত কর্কটের। কন্যা রাশি কর্কটের জীবনকে অনেকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, কন্যা রাশির সঙ্গে অনেক বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে তবেই বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাছাড়া কুম্ভ রাশিও উপযুক্ত কর্কটের জন্য।
আরও পড়ুন- ধনু রাশির কতটা উন্নতি হবে অগ্রহায়ণ মাসে, দেখে নিন
সিংহ রাশির সঙ্গী হওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত রাশি হল মিথুন ও মীন রাশি। এদের সব সময়ে কন্যা রাশির সঙ্গে যে কোনও সম্পর্ক এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যদি কন্যা রাশির সঙ্গে দাম্পত্য শুরু হয় তবে তা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কন্যা রাশির আদর্শ বন্ধু ও জীবনসঙ্গী হল কর্কট, মকর। এই রাশির জাতকের সবচেয়ে বড় শত্রু রাশি হল সিংহ। তাই সব সময় সিংহ রাশি কে এড়িয়ে চলাই ভালো। তুলা রাশির মিত্র রাশি মিথুন এবং তুলা রাশিই। তুলা রাশির বৃশ্চিকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলে তা হবে ক্ষণস্থায়ী। বৃশ্চিক রাশির সঙ্গে ধনু, মকর ও মীন এর সম্পর্ক শুভ। নিজ রাশির জাতক-জাতিকার সঙ্গে সম্পর্ক হলে তা ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। এই রাশির সবসময় কর্কট রাশিকে এড়িয়ে চলাই ভালো কারণ দাম্পত্য স্থায়ী হয় না।
আরও পড়ুন- সোমবারের সারাদিন কেমন কাটবে আপনার, দেখে নিন রাশিফল
ধনু রাশির সঙ্গে মেষ ও মকরের সম্পর্ক খুবই শুভ হয়। তবে নিজ রাশির অর্থাৎ ধনু রাশির জাতক-জাতিকাকে এড়িয়ে চলুন। এই জাতকের সবচেয়ে ভালো সঙ্গী হতে পারে মেষ। মকর রাশির জাতকের উপযুক্ত সঙ্গী হয় কন্যা, ধনু ও মীন রাশি। নিজ রাশির জাতক-জাতিকাকে এড়িয়ে চলুন। অনেক ক্ষেত্রে আবার তুলা রাশির সঙ্গে সম্পর্কও ভালো হয়। তুলা ও মকরের সমন্বয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বৃহস্পতি থাকে তুঙ্গে। কুম্ভ রাশির জাতকের ভালো সঙ্গী রাশি একমাত্র মকর। নিজ রাশির সঙ্গে সম্পর্ক কিছু ক্ষেত্রে ভাল ফল দিতে পারে। তবে অনেক বাধা-বিপত্তি আসে। এদের সব সময় মিথুন রাশি এড়িয়ে চলা উচিত। মীন রাশির সবচেয়ে উপযুক্ত সঙ্গী রাশি হল বৃশ্চিক ও অনেকাংশে সিংহ। তবে মীন ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে শনির দশা কেটে যেতে পারে। মকরের সঙ্গেও সম্পর্ক অনেকাংশে টিকে যায়। তবে কুম্ভ রাশি কে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।