জাতকের জন্মসময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয়। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন- আগামী বছরে কেবলমাত্র এই রাশির হবে সার্বিক উন্নতি,পূরণ হবে স্বপ্নও
ছোট থেকে বড় প্রতিদিনই আমরা নানান রকমের সমস্যার সম্মুখীন হই। লেখাপড়া থেকে শুরু করে অফিস, সব জায়গায় আমাদের কোনও না কোনও সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। আবার কখনও কখনও পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে তা মামলা মোকদ্দমা অবধি গড়িয়ে যায়। ফলে প্রায়ই আইন আদালতের ঝামেলা পোহাতে হয়। বিশেষ এই পদ্ধতিতে জ্যোতিষীরা কোনও ব্যক্তির জন্মছক বিশ্লেষণ করে বলতে পারেন অনেক কিছু। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কোনও ব্যক্তির জন্মছক দেখেই অনুমান করা সম্ভব কখন মামলা মোকদ্দমায় সেই ব্যক্তির জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে আবার জানতে পারবেন কখন এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
আরও পড়ুন- কোন বিষয়ে আসক্তি আপনার, জেনে নিন রাশি অনুযায়ী
জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবের মধ্যে অন্যতম হল অষ্টম ভাব। এই অষ্টম ভাবের অবস্থানের ফলেই মামলা মোকদ্দমার সমস্যায় পড়ে নাজেহাল হতে হয়। নীচস্থ চন্দ্রের দশায় মামলা মোকদ্দমা বা কারাবাসের সম্ভাবনা দেখা দেয়। কোনও ব্যক্তির অষ্টম ভাবে যদি অশুভ গ্রহ অবস্থান করে তাহলেও মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। সে রকমভাবেই অষ্ঠবর্গ ছকে যদি চন্দ্র অশুভ স্থানে থাকে তবে মামলায় ভুগতে হয়। আবার রাহুর দশা বা মঙ্গলের অন্তর্দশায় মামলা মোকদ্দমার সম্ভাবনা থাকে। একইভাবে যদি ধনপতি এবং আয়পতি গ্রহ ষষ্ঠ, অষ্টম, স্থানে হলে মামলা-মোকদ্দমা সহ রাজদণ্ডও হতে পারে। রবি যদি নীচস্থ হয় বা অষ্টম এবং দ্বাদশ ভাবে থাকে তাহলেও সমস্যা হয়। আবার অষ্ঠবর্গের দ্বাদশভাগে যদি রাহু থাকে তাহলে জীবনে বহুবার এই সমস্য়ায় ভুগতে হবে।