হীরক বা হীরে হল সর্বাপেক্ষা মূল্যবান একটি রত্ন যা গহনা তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত হয়। বর্ণহীন এ রত্নটি একটি মাত্র বিশুদ্ধ উপাদান কার্বন থেকে সৃষ্ট। অন্য ভাষায় হীরক কার্বনের একটি বিশেষ রূপ মাত্র। হীরার মূল্য কেমন হবে তা নির্ভর করে চারটি বিষয়ের উপর। যথা রং, কীভাবে কাটা হয়েছে, কতটা স্বচ্ছ প্রকৃতির এবং কত ক্যারেট ওজনের। ক্যারেট স্বর্ণের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধতার একক। হীরা সবচেয়ে শক্ত বস্তু, তবুও সারা বিশ্বে গহনা হিসেবে বহুল প্রচলিত হীরে। খাঁটি হীরেতে আলো ফেললে এর ভেতরে যে আলোর ছটা দেখা যাবে, তাকে বলা হয় 'ব্রিলিয়ান্স'। আর বাইরের দিকে প্রতিফলিত হয় রামধনুর রঙের, যাকে বলা হয় 'ফায়ার'। নকল হীরের ক্ষেত্রে পাথরের ভেতরেই রামধনু রং দেখতে পাওয়া যাবে। খাঁটি হীরার প্রতিফলনে বেশির ভাগই ধূসর ভাব থাকে।
আরও পড়ুন- কেমন কাটবে বৃহস্পতিবারের সারাদিন, দেখে নিন আজকের রাশিফল
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মধ্যমায় হীরের আংটি পরলে তা বদলে দিতে পারে আপনার জীবন। গীরে অত্যন্ত মূল্যবান। তবে এই রত্ন ধারন করলে শুক্র গ্রহের স্থান শক্তিশালী হতে শুরু করে। অনেকে অমনও বিশ্বাস করেন হীরের আংটি ধারণ করলে প্রচুর ধন সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠা সম্ভব। তাই হীরের আংটির যথাযথ ফল পেতে গেলে তা মধ্যমায় ধারন করতে হবে। মধ্যমায় এই আংটি ধারন কী কী ফল লাভ সম্ভব, জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন- বাড়িতে অশুভ শক্তির উপস্থিতি, বুঝে নিন এই সহজ উপায়ে
হীরের আংটি মধ্যমায় ধারন করলে শারীরিক বহু সমস্যা মিটে যায়। এই আংটি ধারণের পর শরীরের অনেক পরিবর্তন হয় বলে মনে করা হয়। হীরের আংটি মধ্যমায় ধারন করলে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। যা জীবনে চলার পথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে কর্মজীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছানো যায়, বলে জানায় জ্যোতিষশাস্ত্র। যার ফলে এই আংটি ধারনের ফলে সমস্ত আর্থিক সমস্যার সমাধান হয় সহজেই। এই আংটি ধারনে শুধু শুক্র গ্রহ নয় অন্যান্য গ্রহের অবস্থানেরও পরিবর্তন হয়। ফলে জীবনের খারাপ সমস্যা কেটে যায়। ফলে মানসিক চিন্তার মুক্তি ঘটে। এই কারণেই শারীরিক উন্নতিও হয়। তাই যদি হীরের আংটি ধারণ করতে হয় সব সময় তা মধ্যমায় ধারণ করুন।