সাবধান,বাড়িতে এই ধরনের মূর্তি পুজো দুর্ভাগ্য ডেকে আনতে পারে

  • মূর্তি বলতে আবয়বকে বোঝায়
  • হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূর্তির মাধ্যমে দেবতার পুজো করে থাকেন
  • মূর্তিতে দেবতার আবাহন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরই সেই মূর্তি পুজোর যোগ্য 
  • তবে যে কোনও মূর্তি যে কোনও অবস্থাতে পুজো করা যায় না

হিন্দুধর্ম মতে, মূর্তি বলতে দেবতার আবয়বকে বোঝায়। মূর্তি দেবতার প্রতিনিধি। সাধারণত পাথর, কাঠ, ধাতু অথবা মাটি দিয়ে মূর্তি নির্মাণ করা হয়। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূর্তির মাধ্যমে দেবতার পুজো করে থাকেন। মূর্তিতে দেবতার আবাহন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরই হিন্দুরা সেই মূর্তিকে পুজোর যোগ্য মনে করেন। ধর্মীয় সংস্কার বা শাস্ত্রের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দেবতার মূর্তি নির্মিত হয়ে থাকে। হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি প্রধানত মানুষের আদলে দেবতার মূর্তি নির্মিত হয়ে থাকে। অধিকাংশ এই জাতীয় মূর্তিতেই দেবতাদের পুজো করা হলেও, হিন্দুধর্মে শিবলিঙ্গ ও শালগ্রাম শিলার মতো নিরাকার প্রতীকেও দেবতার পুজো প্রচলিত রয়েছে। দেবতার নররূপ হিন্দুদের ধ্যানের বিশেষ সহায়ক হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন- কেমন কাটবে বৃহস্পতিবারের সারাদিন, দেখে নিন আজকের রাশিফল

Latest Videos

আধুনিক পৌত্তলিকতা হচ্ছে একটি ধর্মিয় আন্দোলন যা প্রাক-আধুনিক ইউরোপের বিভিন্ন ঐতিহাসিক পৌত্তলিক বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত অথবা অনুপ্রাণিত। এটি সম সাময়িক পৌত্তলিকতা এবং নব্য পৌত্তলিকতা হিসেবেও পরিচিত। যদিও অনেক সাদৃশ্য দেখা যায়, তবুও আধুনিক পৌত্তলিক ধর্মিয় আন্দোলনগুলো অনেকটা বিচ্যুত এবং তারা পূর্বের বা বর্তমান কোনও বিশ্বাস, রীতি অথবা গ্রন্থকে অনুসরণ করে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মূর্তি পুজো বিষয়টিকে বিভিন্ন ধর্মের সমন্বিত আন্দোলন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে কিছু সংখ্যক বরঞ্চ এটিকে একটি স্বতন্ত্র ধর্ম বলেছেন, যার মধ্যে অনেকগুলো পৌত্তলিক ধর্ম একত্রে স্থান পেয়েছে। নব্য পৌত্তলিক হিসেবে বিবেচিত অনেকেই নিজেকে পৌত্তলিক বলে দাবি করেন না।

আরও পড়ুন- সৌভাগ্য বজায় রাখতে, সব সময় সঙ্গে রাখুন এই জিনিসগুলি

সনাতন ধর্ম মতে, যে কোনও মূর্তি বাড়িতে  কোনও অবস্থাতেই কী পূজ্য? সনাতন ধর্ম ও ভারতীয় পরম্পরা মূর্তি পুজোর বিষয়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়। সনাতন ধর্ম মতে, যে কোনও মূর্তি যে কোনও অবস্থাতে পুজো করা যায় না। এতে হতে পারে বিপরীত সমস্যা, ঈশ্বর উপাসনা করতে গিয়ে জেগে উঠতে পারে অশুভ শক্তি। 


শনিদেব বা বড়বাবার মূর্তি কখনই বাড়িতে রাখা উচিৎ নয়। জ্যোতিষ মতে, শনিদেব এরর মূর্তি বাড়িতে রাখলে সংসারে অশুভ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হয়।

শনিদেব এর মত রাহু বা কেতু-র মূর্তি বাড়িতে রাখা বিপদ্দজনক। কারণ রাহু ও কেতু হল ছায়াগ্রহ। এই দুই গ্রহও নিষ্ঠুর বলে বিবেচিত হয়, তাই বাড়ির বাইরেই এদের পুজো করা শ্রেয় বলে মনে করা হয়।

অনেকেই ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ঘরে নটরাজের মূর্তি রাখেন। মহাদেবের এই রূপ অত্যন্ত আকর্ষনীয়। এই নটরাজের রূপ হল শিবের ক্রুদ্ধ রূপ। তাই এই মূর্তি ঘরে না রাখাই শ্রেয় বলে মনে করেন বাস্তুবিশারদরা।

তন্ত্রের ঈশ্বর বলে মনে করা হয় ভৈরব-কে। অর অপর নাম কাল-ভৈবর। শিবপুরাণ মনে, ভৈরব বলেন শিবের অবতার। তাই তন্ত্র সাধনার প্রধাণ এই দেবতার মূর্তি ঘরে রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়।
 

Share this article
click me!

Latest Videos

'Mamata Banerjee-কে আমি জেলে পাঠাবো!' Suvendu Adhikari-র চরম বার্তা! #shorts #shortsvideo
'মমতার নির্দেশেই BSF-এর সঙ্গে যৌথ অভিযানে যায় না এই পুলিশ' বিস্ফোরক দাবী Suvendu Adhikari-র
অবশেষে তিন মাস পর মুক্তি পেলেন Bangladesh-এ আটক Sundarbans-এর মৎস্যজীবীরা!
Sundarbans-এর প্রবেশপথে নাকা তল্লাশি! Javed Munshi কাণ্ডের পর সতর্ক প্রশাসন | Canning News Today
তেলেঙ্গাবাগানে তুলকালাম! দুটি বাসের তুমুল রেষারেষি, তারপরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা | Kolkata News