জাতকের জন্ম সময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয়। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন- আগামী বছরে কেমন হবে মিথুন রাশির কর্মজীবন, জেনে নিন
সবার জীবনেই কম-বেশি আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। জীবনে সাফল্য পেতে বহু বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়। নানান সমস্য়া ও প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে তবে একজন ব্যক্তি সাফল্যের মুখ দেখেন। বহু ব্যক্তি আছেন যাঁরা প্রতিনিয়ত বাধা বিপত্তি সম্মুখিন হয়েও জীবনে সফল হতে পারছেন না। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কোনও পরিবারেই আর্থিক সমৃদ্ধি নিজে থেকে আসেনা, তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাই আপনিও যদি আর্থিক সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি। আর সহজেই কাটিয়ে উঠুন এই কঠিন পরিস্থিতি। অনেক সময় রাশিচক্রে দারিদ্র যোগ বা বাস্তু দোষের কারণেও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়, তখন প্রতিকারের বিশেষ প্রয়োজন। জেনে নেওয়া যাক এই মাসে কোন নিয়মগুলি মেনে চললে সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন দারিদ্রতা ও খারাপ সময়ের যোগ।
আরও পড়ুন- শনিবার সারাদিন কেমন কাটবে আপনার, দেখে নিন আপনার রাশিফল
এই মাসে প্রতিদিন নিয়মিত ঘর-বাড়ি পরিস্কার রাখবেন। ঘরের কোনায় কখনোই ঝুল জমতে দেবেন না। সৌভাগ্যলক্ষী তন্ত্রে বলা হয়, যিনি নিয়মিত নিজেকে এবং ঘর-বাড়ি পরিস্কার রাখেন তাকে মা লক্ষ্মী কখনোই পরিত্যাগ করেন না। বাড়ির পূর্বদিকে সুগন্ধি সাদা ফুলের গাছ লাগাবেন। পৌষের প্রতি পূর্ণিমায় নারায়ণের পূজোয় সিন্নি দেবেন। এতে পরিবারের মঙ্গল হয় এবং আর্থিক সমস্যা কেটে যায়। অধিকাংশ বাড়িতেই মহিলারা সারাদিন বাড়ির কাজ করে স্নান সেরে তারপর দুপুরের খাবার খান, কিন্তু বাস্তু মতে এই মাসে সকাল বেলায় বাড়ির মহিলাদের স্নান করে নেওয়া উচিত। এতে পরিবারে সুখ শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হয়। এই মাসে সূর্যাস্তের পর ঘর বাড়ি পরিষ্কার করা উচিত নয়। এতে আপনার বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব পড়ে। ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও খারাপ হতে থাকে। গরীব দুঃখীকে সাধ্যমতো কিছু না কিছু অবশ্যই দান করবেন। শুদ্ধ মন থেকে আপনি যতটা পারবেন ততটাই দেবেন। বিপদে আপদে মানুষকে সাহায্য করলেও তা দান বলে গণ্য হয়। সব সময় যে আপনাকে অর্থ দান করতে হবে তার কোনও মানে নেই।