রঙ তো খেলেন, তবে দোল ও হোলি উৎসবের মধ্যে পার্থক্যটা জানেন

Published : Mar 04, 2020, 09:02 AM IST
রঙ তো খেলেন, তবে দোল ও হোলি উৎসবের মধ্যে পার্থক্যটা জানেন

সংক্ষিপ্ত

হোলি উত্সব বিশ্বের বৃহত্তম রঙের উৎসব বিভিন্ন জায়গায় এই উৎসব বিভিন্ন নামে পরিচিত এই উৎসব বেশিরভাগ জায়গায় হোলি নামে পরিচিত বাংলায় এটি দোল উৎসব নামে পরিচিত

হোলি উত্সব বিশ্বের বৃহত্তম রঙের উৎসব, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলায় তা দোল পূর্ণিমা বা দোল উৎসব নামে পরিচিত।  তবে এটি সবাই একই উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত করে। প্রত্যেকেই নিজস্ব ঐতিহ্যটি তাদের নিজস্ব উপায়ে উদযাপন করে থাকেন। সব কিছু মিলিয়ে কয়েক মুহূর্তের জন্য নিজের জীবনেকে রাঙিয়ে তোলা বা সব কিছু ভুলে কয়েক ঘন্টার জন্য আনন্দে বাঁচার রসদ জোগায় এই উৎসব।

আরও পড়ুন- এই দিনেই নবযৌবনা রাধার শরীর রঙে ঢেকে দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ

যার পছন্দ যাই হোক না কেন, সবাই সবার নিজের মত করে এই উৎসব উৎযাপিত করেন। কেউ আবিরের রঙে কেউ আবার বাদুরে রঙ মেখে এই আনন্দের কিছু মুহূর্ত একেবারে নিঙরে নিতে চান। এই উৎসব বেশিরভাগ জায়গায় হোলি নামে পরিচিত আর বাংলায় দোল উৎসব। তবে এই উৎসবের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়। দোল উৎসব হোলির একদিন আগে পালিত হয়। এর কারণ এটি নয় যে "বাংলা আজ যা ভাবছে, বিশ্ব কালকে ভাববে"। তবে কেন দুটি আলাদা আলাদা দিনে একই উৎসব পালনের রীতি রয়েছে! একই উৎসব একরই রীতি তবে ভিন্ন দিনে কেন!

আরও পড়ুন- হিন্দুধর্মের এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব, রইল দোল পূর্ণিমার নির্ঘন্ট

এর কারণ হল, হোলি উৎসব ভগবান বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদের কিংবদন্তির কাহিনির উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। আর দোল উৎসব কৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের কাহিনির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কৃষ্ণ এবং প্রহ্লাদ উভয়ই ঘটনাক্রমে ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসাবে বিবেচিত। বাংলার ফালগুন মাসের পূর্ণিমা রাতের পরের দিন দোল উৎসব পালিত হয়। এই বিশেষ দিনেই, রাধা ও তাঁর সখীরা দল বেঁধে রঙ খেলায় মেতে উঠেছিলেন। তখন ভগবান কৃষ্ণ তাঁর মুখটি সুগন্ধি ফুলের কুড়ির রঙ দিয়ে গন্ধযুক্ত করলেন। কৃষ্ণা রাধার প্রতি সেই প্রথম প্রেম প্রকাশ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। এই মুহূর্তটি উদযাপন করার জন্য দু'জনকেই বর্ণময় পালকিতে নিয়ে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীরা নগর কীর্তনে বের হন।

আরও পড়ুন- কেনা রঙে দোল নয়, সমস্যা এড়াতে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন ভেষজ রং

আর এদিকে হোলি উৎসব হল ভগবান বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদকে কেন্দ্র করে যিনি রাক্ষস রাজা হিরণাকশীপুর ধর্মপ্রাণ পুত্র। বিষ্ণুভক্ত হওয়ায় প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য, অতিপ্রাকৃত শক্তিধারী হলিকা - তাঁর সাথে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি নিজেকে বাঁচাতে তাঁর শক্তিগুলি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, প্রহ্লাদের মৃত্যু নিঃশ্চিত। তবে হোলিকার শক্তিগুলি তার "দুষ্ট" উদ্দেশ্যগুলির কারণে ব্যর্থ হয়েছিল এবং প্রহ্লাদ ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আর্শীর্বাদে রক্ষা পান। হোলি, তাই, অশুভের উপরে শুভ শক্তির জয় উদযাপনের জন্য সারা বিশ্বে পালিত হয়। এই কারণের হোলির আগের দিন রাতে পালিত হয় হোলিকা দহন যা বাংলায় বুড়িঘর বা ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত।

PREV
click me!

Recommended Stories

মীন রাশিতে মঙ্গল: ২০২৬ কেমন যাবে নরেন্দ্র মোদীর? বৃশ্চিক সহ এই ৫ রাশিতে খেল দেখাবে ভাগ্য
Weekly Horoscope: সম্পত্তির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হতে পারে! দেখুন আপনার এই সপ্তাহের রাশিফল