এই দিনেই নবযৌবনা রাধার শরীর রঙে ঢেকে দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ
দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়।
| Published : Mar 03 2020, 11:39 AM IST
এই দিনেই নবযৌবনা রাধার শরীর রঙে ঢেকে দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
18
দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও রং নিয়ে পরস্পর রং খেলেন।
28
দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
38
দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে।
48
দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই দহন উৎসব হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়া, বুড়ির ঘর নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।
58
হোলি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে হোলা থেকে। যার অর্থ হল আগাম ফসলের প্রত্যাশায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন। সংস্কৃত শব্দ হোলকা অর্থাৎ আধ পাকা শস্য থেকেও হোলি শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়। এখনও এই সমস্ত অঞ্চলে হোলির দিনে আধ পাকা গম এবং ছোলা খাওয়ার রীতি আছে।
68
হিন্দু পুরাণ অনুসারে, কৃষ্ণ তার যৌবনে হতাশ হয়ে ভাবে, উজ্জ্বল বর্ণের রাধা ও অন্যান্য গোপিরা তার শ্যাম বর্ণের কারণে পছন্দ করবে কিনা। এতে কৃষ্ণের মা কৃষ্ণের হতাশায় ক্লান্ত হয়ে তাকে বলেন, রাধার কাছে গিয়ে সে রাধার মুখমণ্ডলকে যেকোন রঙ দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিতে পারে। কৃষ্ণ তাই করে, এবং এরপর রাধা ও কৃষ্ণ জুড়ি হয়ে যায়। রাধা ও কৃষ্ণের এই রঙ নিয়ে খেলাই হোলি বা দোলযাত্রা হিসেবে পালিত হয়।
78
এই বছর দোল পূর্ণিমা বাংলার ২৫ ফাল্গুন ১৪২৬, ইংরেজির ৯ মার্চ ২০২০ সোমবার পালিত হবে। দোল পূর্ণিমা তিথির শুরু রবিবার রাত্রি ২টো ৩ মিনিটে, পূর্ণিমা উপবাস পালন। দোল পূর্ণিমা তিথি শেষ বাংলার ২৬ ফাল্গুন ১৪২৬, ইংরেজির ১০ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।
88
ভারতবর্ষের বিভিন্ন হিন্দু ঐতিহ্যেই হোলি উৎসবের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। এটি একটি উৎসবমুখর দিন। এই দিনে মানুষেরা এই দিনে ঝগড়া বিবাদ ভুলে ধর্ম বিবাদ ভুলে একত্রে মিলিত হয়।