সর্বোচ্চ স্তরে শিবকে সর্বোৎকর্ষ, অপরিবর্তনশীল পরম ব্রহ্ম মনে করা হয়। শিবের অনেকগুলি সদাশয় ও ভয়ঙ্কর মূর্তিও আছে। সদাশয় রূপে তিনি একজন সর্বজ্ঞ যোগী। তিনি কৈলাস পর্বতে সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করেন।আবার গৃহস্থ রূপে তিনি পার্বতীর স্বামী। তার দুই পুত্র বর্তমান। এঁরা হলেন গণেশ ও কার্তিক। ভয়ঙ্কর রূপে তাকে প্রায়শই দৈত্যবিনাশী বলে বর্ণনা করা হয়। শিবকে যোগ, ধ্যান ও শিল্পকলার দেবতাও মনে করা হয়। শাস্ত্র মতে শিবের পুজোর উপকরণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা সমৃদ্ধির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন- মীন রাশির উপর কেমন প্রভাব থাকবে এই মাসে, দেখে নিন
বেদান্ত বৈদিক সনাতন ধর্মের ভিত্তি তথা বেদের শিরোভাগ, সম্পূর্ণ বেদান্তে শিব ছাড়া কারও সম্পর্কে এভাবে বলা হয়নি। শুধুমাত্র শিবের ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে "শিব এব কেবলঃ"। শাস্ত্র মতে, সৃষ্টির পূর্বে একমাত্র শিবই বর্তমান ছিলেন। তিনিই লীলাচ্ছলে ব্রহ্মারূপে সৃষ্টি করেন, বিষ্ণুরূপ ধারণ করে পালন করেন আবার রুদ্ররূপ ধারন করে সংহার করেন। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-হর তারই সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের তিনটি রূপভেদ মাত্র। তাই এই তিন রূপের মধ্যে সত্বার কোন পার্থক্য নেই। তবু সনাতন রূপ পরম শিবরূপই মূলস্বরূপ।
আরও পড়ুন- কেমন কাটবে বৃহস্পতিবারের সারাদিন, দেখে নিন আজকের রাশিফল
তাই জীবনের সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে, সকল মনোঃষ্কামনা পূরণ করতে নিষ্ঠাভরে পালন করুন মহাশিব রাত্রি ব্রত। সব ব্রতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল এই মহাশিবরাত্রি। ব্রতের আগের দিন ভক্তগণ নিরামিষ আহার করে। এই বছরে বাংলায় ৮ ফাল্গুন ১৪২৬, ইংরেজির ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার শ্রীশ্রীশিবরাত্রি ব্রত ও পূজা। স্মার্ত্তমতে সন্ধ্যা ঘ ৫/৪১ গতে শ্রীশ্রীশিবরাত্রি ব্রত ও পূজা ও শিবচতুর্দ্দশী পালন। গোস্বামিমতে পরাহে শ্রীশ্রীশিবরাত্রি ব্রত ও পূজা ও শ্রীশ্রীশিবরাত্রি ব্রত উপবাস।