জীবনে দুর্ভোগের একমাত্র কারণ এই স্বভাব, জানায় চাণক্য নীতি

  • ব্যক্তির জীবনে সুখ এবং দুঃখ রয়েছে
  • উচ্চাভিলাষী ব্যক্তির জীবনে ভোগান্তি বাড়ে
  • আচার্য চাণক্যের এই সত্যকে প্রমাণ করে
  • ব্যক্তির এই স্বভাব মারাত্মক ক্ষতিও করে

Asianet News Bangla | Published : Sep 19, 2020 5:51 AM IST / Updated: Sep 19 2020, 11:37 AM IST

চাণক্য নীতির মতে, যে কোনও ব্যক্তির জীবনে সুখ এবং দুঃখ রয়েছে। কিন্তু যখন কোনও একজন ব্যক্তি আরও উচ্চাভিলাষী হয়ে ওঠে, তখন তার ভোগান্তি বাড়ে। কারণ ব্যক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা কখনই শেষ হয় না। তাই, চানক্য বলেছেন যে কারও উচ্চাভিলাষী হওয়া উচিত নয়। মহাভারতের কাহিনীও আচার্য চাণক্যের এই সত্যকে প্রমাণ করে। মহাভারতের যুদ্ধটি উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য করা হয়েছিল। হস্তিনাপুরের রাজা ধৃতরাষ্ট্র দুর্যোধনের পুত্রকে এমনভাবে সিক্ত করেছিলেন যে তিনি দুর্যোধনের উচ্চাভিলাষের দিকে মনোযোগ দেন নি। দুর্যোধনের আকাঙ্ক্ষা ছিল যে তিনি নিজেই হস্তিনাপুরের রাজা হন। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা কৌরবদের ধ্বংস করেছিল।

চাণক্য নীতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়া উচিত, উচ্চাভিলাষী হওয়া উচিত নয়। চাণক্যের মতে, উচ্চাকাঙ্ক্ষা সব কিছু ধ্বংস করে দেয় এবং দুর্ভোগ বাড়িয়ে তোলে। উচ্চাভিলাষটি যদি উপযুক্ত সময়ে নষ্ট না করা হয় তবে কখনও কখনও এটি মারাত্মক ক্ষতিও করে। তাই চাণক্যের মতে, সব সময় এই তিনটি বিষয়ে মনে রাখা উচিত।

১) ধর্মের গুরুত্ব- উচ্চাভিলাষ দূর করতে হলে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা উচিত। যে কোনও ধরণের লোভ এবং লালসা যারা ধর্ম অনুসরণ তাদের আকর্ষণ করে না।

২) অধ্যবসায়ের উপর বিশ্বাস- ব্যক্তির কেবল নিজের অধ্যবসায়ের উপর নির্ভর করা উচিত। যে ব্যক্তি তার পরিশ্রমকে বিশ্বাস করে না। তারা জীবনে সাফল্যের জন্য অন্যান্য পথ অবলম্বন করে। যখন কোনও ব্যক্তি উচ্চাভিলাষী হয়, তখন লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রমের আশ্রয় না নিয়ে অন্যান্য ভুল ও অনৈতিক পথও চালায়। এই পথ ধ্বংসের কারণও হতে পারে।

৩) নৈতিকতা কখনই ত্যাগ করা উচিত নয়- উচ্চাকাঙ্ক্ষা কখনই সেই ব্যক্তিকে স্পর্শ করে না যে নৈতিকতার পথে চলে। কারও কখনও নৈতিক গুণাবলী ত্যাগ করা উচিত নয়। নৈতিক পথে চলা কোনও ব্যক্তি সর্বদা উচ্চাভিলাষ থেকে দূরে থাকেন।

Share this article
click me!