এই তিথিতেই মহাদেব নারায়ণকে দিয়েছিলেন সুদর্শন চক্র, জেনে নিন এই তিথির গুরুত্ব

  • কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে এই ব্রত পালন হয়
  • এই বছর এই তিথি পড়েছে অগ্রহায়ণ মাসে
  • এই দিনে ভগবান নারায়ণ ও শিব পুজো করা হয়
  • এই তিথিতেই শিব ভগবান বিষ্ণুকে সুদর্শন চক্র দিয়েছিলেন

Asianet News Bangla | Published : Nov 26, 2020 6:32 AM IST

হিন্দু বর্ষপঞ্জি অনুসারে, প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী পালিত হয়। তবে এই বছর এই তিথি পড়েছে অগ্রহায়ণ মাসে। বিশ্বাস করা হয় যে, কোনও ব্যক্তি এই দিনে ভগবান নারায়ণ পুজো করেন এবং উপবাস পালন করেন। তারা মৃত্যুর পর বৈকুন্ঠ ধামেই ঠাঁই পান। বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীকে ধর্মগ্রন্থে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দিনে ভগবান শিব এবং নারায়ণ পূজা হয়। এই দিনে ভগবান শিব এবং নারায়ণ পূজা করলে ব্যক্তির সমস্ত পাপ নষ্ট হয়ে যায়। পুরাণে বলা আছে যে এই দিনে ভগবান শিব ভগবান বিষ্ণুকে সুদর্শন চক্র দিয়েছিলেন। এই দিনে, যে ব্যক্তি মারা যান তিনি সরাসরি স্বর্গ গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন- ঘরের এই ৫ জিনিস আপনাকে দরিদ্র করে তুলতে পারে, অবিলম্বে এগুলি সরিয়ে ফেলুন

বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী ২০২০ এর গুরুত্ব-

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ভগবান নারদ একবার মানুষের মুক্তির পথ জিজ্ঞাসা করার জন্য ভগবান নারায়ণের কাছে গিয়েছিলেন। নারদের প্রশ্নের উত্তরে ভগবান বিষ্ণু বলেছিলেন, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে যে প্রাণীরা আমার এবং দেবাদিদেব মহাদেবের শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সাথে পূজা করবেন, বৈকুন্ঠের দ্বার তাঁদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই কারণেই শাস্ত্রে এই ব্রতের উল্লেখ রয়েছে।

বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী ২০২০ শুভ সময়-

বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী ২৮ নভেম্বর, শনিবার পালিত হবে। মহাজ্যোতির্ময় চতুর্দশী শুরু হবে২৮ নভেম্বর, শনিবা সকাল ১০ টা বেজে ২২ মিনিটে। মহাজ্যোতির্ময় চতুর্দশী তিথি শেষ হবে ২৯ নভেম্বর, রবিবার বিকেলে ৪ টেয়। মহাজ্যোতির্ময় চতুর্দশী নিশি পালন সময়: রাত ১১ টা বেজে ৪২ মিনিট থেকে ১২ টা বেজে ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী নিশিথ সময়কাল থাকবে মাত্র ৫৫ মিনিট। 

আরও পড়ুন- আর্থিক সমস্যা দূর করতে বৃহস্পতিবার পালন করুন এই নিয়ম, কাটিয়ে উঠুন সমস্যা

মহাজ্যোতির্ময় চতুর্দশী পুজো পদ্ধতি- মহাজ্যোতির্ময় চতুর্দশী পালন করতে পরিষ্কার কাপড় এবং সকালে স্নানে পরে নারায়ণ পুজো করুন। সন্ধ্যায়, ১০৮ টি পদ্ম ফুল দিয়ে নারায়ণ পূজা করুন। এর পরে, নিয়ম অনুযায়ী শিবের উপাসনা করুন। দ্বিতীয় দিন সকালে, শিবের উপাসনা করুন এবং দুঃস্থদের সাধ্য মত খাদ্য দান করুন এবং ব্রত পালন করুন।

Share this article
click me!