কখন আর্থিক সমস্যা কেটে গিয়ে হাতে আসবে অনেক টাকা, হাত দেখে জেনে নিন নিজেই

  • হাতের রেখা দেখে ভাগ্য নির্ণয় করার বিষয়ে পরিচিত অনেকেই
  • হস্তবিশারদরা হাতের রেখা দেখে ভাগ্য নির্ধারণ করেন
  • নিজের হাত নিজে দেখে জেনে নিতে পারেন কখন আপনার হাতে আসবে প্রচুর টাকা
  • হাতের রেখার কোন কোন চিহ্নগুলি দেখে অর্থপ্রাপ্তি সম্বন্ধে ধারনা করা যায়

deblina dey | Published : Apr 28, 2020 5:23 AM IST

জ্যোতিষশাস্ত্রের মধ্যে একটি বিষয় হল হাতের রেখা দেখে ভাগ্য নির্ণয়। হস্তবিশারদরা হাতের রেখা দেখে ভাগ্য নির্ধারণ করেন। তাদের মতে, নিজের হাত নিজে দেখে জেনে নিতে পারেন কখন আপনার আর্থিক সমস্যা কেটে গিয়ে, হাতে আসবে প্রচুর টাকা। আপনার অর্থপ্রাপ্তির সময় সম্বন্ধে নিজেই জানতে চান, তবে দেখে নিন হাতের রেখার কোন কোন চিহ্নগুলি দেখে অর্থপ্রাপ্তি সম্বন্ধে ধারনা করা যায়। 

আরও পড়ুন- আগামী দিনে চাকরীতে সমস্যা, বেকার হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশিগুলির

হস্তবিশারদের মতে, হাতের আয়ু রেখার শেষ অংশ থেকে শনি মনিবন্ধ থেকে শুরু হয়ে শনি পর্বত রেখা অবধি পৌঁছে গেলে। একইসঙ্গে ভাগ্যরেখার উপর কোনও অশুভ চিহ্ন না থাকলে সেই ব্যক্তি ব্যবসায় সাফল্য লাভ করেন। ব্যবসায় ধনলাভের যোগ হয় হাতে এই চিহ্নগুলি থাকলে। যদি কোনও ব্যক্তির হাত ফোলা ও আঙ্গুলের মাথাগুলি গোলাকার হয়। একইসঙ্গে যদি হাতের আঙ্গুল কোমল ও নরম হয় তাহলে এমন হাতের অধিকারী ব্যক্তির ধনবান হওয়ার যোগ তৈরি হয়।

আরও পড়ুন- বৈশাখ মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মকর রাশির উপর, দেখে নিন

হাতের রেখার শনি পর্বত অর্থাৎ মধম্যার কাছ থেকে দুটি বা তার বেশি উল্লব রেখা বা লম্বালম্বি কোনও রেখা থাকলে তা ধনপ্রাপ্তির যোগের চিহ্ন বলে মনে করা হয়। একইভাবে যদি হাতের রেখার এই শনিপর্বত চিহ্ন যদি উঠে আছে বলে মনে হয় তাহলে সেই রেখা অর্থপ্রাপ্তির রেখা বলে মনে করা হয়। যদি কোনও ব্যক্তির হাতের আয়ু রেখা নিঁখুত গোলাকার হয়, এবং মস্তিষ্ক রেখা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে। একই সঙ্গে হাতের তালুতে যদি ত্রিভুজ চিহ্ন থাকে, এই তিনটি লক্ষণ যদি একসঙ্গে হাতের তালুতে দেখা যায় তবে তা অর্থপ্রাপ্তির লক্ষণ। এই তিনটি চিহ্ন হাতের তালুতে কোনও ব্যক্তির একসঙ্গে থাকা মানে হঠাৎ হঠাৎ করেই তাঁর অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চিহ্নগুলি থাকার পাশাপাশি যদি হাতের রেখায় অন্য কোনও অতিরিক্ত শুভ অশুভ যোগ বা রেখা থাকে তবে তা একইভাবে কাজ দেবে না।

বহু প্রাচীণ সংস্কৃতির মধ্যেই জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয়, চীনা ও মায়া সভ্যতার অধিবাসীগণ মহাকাশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পার্থিব ঘটনাগুলির ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এই বিষয়ের চর্চা এবং উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। পশ্চিমে, জ্যোতিষশাস্ত্র প্রায়ই একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের ব্যাখ্যা করার জন্য এবং তার জন্মের সময় সূর্য, চন্দ্র, এবং অন্যান্য জ্যোতিষ্কগুলির অবস্থানের উপর ভিত্তি করে তার জীবনের ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য ব্যবহৃত হত। জ্যোতিষশাস্ত্র অতি প্রাচীন এবং এটি বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সভ্যতার মানবগোষ্ঠির দ্বারা চর্চিত, পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে। তাই কোন একটি বিশেষ সময়কে জ্যোতিষশাস্ত্রের সৃষ্টিকাল হিসেবে চিহ্নিত করা যুক্তিযুক্ত নয়।
 

Share this article
click me!