জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এমন অনেকগুলি জিনিস রয়েছে- যা আমাদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধ আর শুভ ফলাফল দেয়। কিন্তু এমন অনেকগুলি জিনিস রয়েছে যেগুলি মেনে না চললে জীবন থেকে হারিয়ে যায় সুখ আর সমৃদ্ধি। জীবন নরকে পরিণত হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এমন অনেকগুলি জিনিস রয়েছে- যা আমাদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধ আর শুভ ফলাফল দেয়। কিন্তু এমন অনেকগুলি জিনিস রয়েছে যেগুলি মেনে না চললে জীবন থেকে হারিয়ে যায় সুখ আর সমৃদ্ধি। জীবন নরকে পরিণত হয়। তাই সাধারণত জীবনে অকারণ বিপদ যাতে না আসে তার জন্য এগুলি পালন করা অবশ্য কর্তব্য। জ্যোতিষ অনুযায়ী পা রাখারও বেশ কতগুলি নিয়ম রয়েছে। যা জীবনে শুভ অশুভ বয়ে আনে। পা এমন ভাবে রাখা ঠিক নয় যাতে দেবতারা ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দিয়ে দেয়।
জেনে নিন কোন দিকে পা রেখে বসলে বা শুলে জীবন নরকে পরিণত হতে পারে -
১. হিন্দুশাস্ত্র মতে পণ্ডিত, গুরু, ঋষি, সাধু- সকলেই ঈশ্বরের সামন। তাই ভুলেও তাদের দিকে পা রেখে বসা ঠিক নয়। আবার বড় বা গুরুজনদের দিকেও পা রেখে বসতে নেই। ঠাকুরের ছবি বা মূর্তির দিকে ভুলেও পা করে বসবেন না। তাতে দেবতাকে অসম্মান করা হয়। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় গুরুজনদের দিকে পা রেখে বসলে বা শুলে কুপিত হন স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু।
২. হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী গ্রহরাজ হলেন সূর্য। গ্রহের ফেরে অনেকের জীবন নরকে পরিণত হতে পারে। তাই ভুলেও কখনই সূর্যদেবতার দিকে পা করে বসবেন না শোবেন না। শাস্ত্রমতে সূর্যের স্থান অনেক ওপরে রয়েছে। শাস্ত্রমতে সূর্য গ্রহকে জ্ঞান, স্বাস্থ্য, সম্মান আর সমৃদ্ধির কারক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জ্যোতিষ অনুযায়ী জীবনে সাফল্য পেতে গেলে সূর্যের দিকে কখনই পা দিয়ে বসা বা শোয়া ঠিক নয়।
৩. অন্যদিকে চন্দ্রের দিকে পা দিয়ে শোয়া আর বসা ঠিক নয়। কারণ তাতে রুষ্ট হন ভগবান শিব। কারণ শিবের কৃপা রয়েছে চন্দ্রের ওপর। তাই চাঁদকে সমীহ করা চলাই শ্রেয়।
৪. জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়ির মন্দির বা পুজোর ঘরের দিকে পা রেখে কখনই শোয়া বা বসা ঠিক নয়। কারণ মনে করা হয় ঠাকুর ঘরই বাড়িতে দেবতার আবাসস্থল। তাই পুজোর ঘরের দিকে পা রেখে শুলে বা বসলে গৃহদেবতাকে অপমান করা হয়। তাতে থমকে যেতে পারে উন্নতি, সুখ আর সমৃদ্ধি।
৫. হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী গরুকে মাতৃরূপে পুজো করা হয়। তাই গরু মায়ের সামন। সেই কারণে ভুলেও গরুর দিকে পা দেবেন না। মনে করা হয় গরুতে ৩৩ কোটি দেবতার বাস। গরুর ওপর আশির্বাদ রয়েছে বিষ্ণুর। তাই গরুর দিকে পা দিলে কুপিত হতে পারে দেবতারা।