জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, বিয়ে, সম্পর্ক অনেকটাই নির্ভর করে আপনার জন্মকুণ্ডলীর উপর। তবে একথা ঠিক যে সম্পর্কের পরিণতি বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে মানুষ সম্পর্ক গড়ে তোলে না। তবে জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে সঠিক রাশি বা লগ্নের মিল না হলে সম্পর্কে বিচ্ছেদ হয়। বিয়ে হল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সুতরাং আপনার জন্ম কুষ্টিতে প্রেম ঘটিত বিয়ে হবে না সম্বন্ধ করে বিয়ে হবে তার সম্পর্কে একটা ধারণা করে নিতে পারবেন। আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন যাকে ভালবাসেন, তাকেই ভবিষ্যতে বিয়ে করবেন আপনি। আপনার পছন্দের মানুষটিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চান। আপনি কি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবেন, যাকে ভালবেসেছেন বিয়ে তার সঙ্গেই হবে। তবে জেনে নিই এই বিবাহের সম্পর্কে ঠিক কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র।
আরও পড়ুন- আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত, ৫ টি সোমবার নিষ্ঠাভরে পালন করুন এই নিয়ম
জ্যোতিষশাস্ত্র ব্যবহার করে জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন জ্যোতিষীরা। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, প্রেম এবং বিয়ের বিষয় বিচার করার সময় প্রাথমিকভাবে ৪টি স্থান বিবেচনা করতে হয় সেগুলি হল- পঞ্চম স্থান, সপ্তম স্থান, অষ্টম স্থান এবং একাদশতম স্থান। পঞ্চম স্থান ও অষ্টম স্থানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, যেমন পঞ্চম পতি অষ্টম স্থানে অবস্থান করলে বা তার বিপরীত হলে অথবা যুক্ত হলে বা পরস্পরের প্রতি দৃষ্টি দিলে এই ধরণের প্রেমের সম্পর্কে থাকার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। যদি সপ্তম স্থান পতির সঙ্গে সংযোগ না হয় তখন এই সম্পর্ক বিবাহে পরিণতি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
আরও পড়ুন- বছরের প্রথম মাস কেমন কাটবে বৃশ্চিক রাশির, দেখে নিন
যদি পঞ্চম পতি সপ্তম স্থানে অবস্থান করে বা রাশি অথবা নক্ষত্র বিনিময় করে বা পরস্পরের প্রতি দৃষ্টি দেয়, তাহলে তা জ্যোতিষশাস্ত্র মতে তা প্রেম ঘটিত বিবাহের সুস্পষ্ট যোগ। রাশিরগুলির মধ্যে বৃশ্চিক, মিথুন এবং মীন রাশি লক্ষ্য করা প্রয়োজন। সেরকম আবার লাভ ম্যারেজের জন্য মঙ্গল, শুক্র, রাহু, চন্দ্র এবং বুধ গ্রহকে দায়ী বলে মনে করা হয়। তাই বিয়ের সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই গণনা করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। রাহু-চন্দ্র এবং চন্দ্র-বুধ সংযোগ হল প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে দুটি লাভজনক যোগ। যদি কোনও কুষ্টিতে অরুধা লগ্ন এবং উপপদ লগ্নের সংযোগ ঘটে তখন এটিও জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রেম বিবাহের ইঙ্গিত।