হাতে গড়া রুটি দিয়েই রাহু আর কেতুর কুনজর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষ মতে রইল রুটি দিয়ে অশুভ সময় কাটানোর টোটকা।
বারবার চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন কিন্তু কিছুতেই চাকরি পাচ্ছেন না। অনেক সময় এমনও হয়েছে থমকে রয়েছে কেরিয়ার। কিছুতেই উন্নতি হচ্ছে না- এই নিয়ে আর চিন্তা করবেন না। জ্যোতিষমেত এজাতীয় বাধা কাটানোর সহজ কয়েকটি উপায় রয়েছে। মূলত রাহু আর কেতুর কুনজরের জন্যই এমনটা হয়। আর সেই কারণেই দোষ কাটালেই সুদিন ফিরবে বলে দাবি করেন হিন্দু শাস্ত্র। যাইহোক আজ আমরা আলোচনা কবর হাতে গড়া রুটি দিয়েই রাহু আর কেতুর কুনজর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষ মতে রইল রুটি দিয়ে অশুভ সময় কাটানোর টোটকা।
রাহু ও কেতুর কুনজর- আপনার ওপর যগি রাহু ও কেতুর কুনজর পড়ে তাহলে অনেক হওয়া কাজও আটকে যায়। এক জায়গায় থেকে থাকে জীবন। রাহু ও কেতু এই দুই গ্রহের ফের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন রাত্রে খাবার পর ঠিক দুটি রুটি সরিষার তেল মাখিয়ে কালো কুকুরকে খাইয়ে দিন। কোনও বাচ্চা কুকুরকেও খাওয়াতে পারেন। কুকুর রাহু ও কেতুর অশুভ প্রভাব কাটিয়ে দেয়।
চাকরি পেতে- চাকরি পাচ্ছেন না - বারবার পরীক্ষা দিয়েও অসফল হচ্ছেন। এমনটা হলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন- রুটির বাটি বা কৌটোর মধ্যে শেষের দিক থেকে তিন নম্বর রুটিটি তুলে নিন। তারপর বাম হাতের তর্জনী আর মধ্যমা আঙুলটি সরিষার তেলে ডুবিয়ে তুলে নিয়ে রুটির ওপর একটি সরল রেখা আঁকুন। এই রুটি কাউকে না দেখিয়ে একদম না কথা বলে দুটি কুকুরকে খাইয়ে দিন। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী বৃহস্পতি বা রবির প্রতিকার করলে কর্মজীবনের সমস্ত বাধা দূর হয়।
কেরিয়ারের বাধা অতিক্রম- জীবনে যদি কর্মক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয় তাহলে হতাশ হবেন না। ভেঙে পড়বেন না। প্রত্যেকেই কর্মক্ষেত্রে নানান বাধার সম্মুখীন হয়। কিন্তু এই সংকট যদি বেশি দিন স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই এই কাজটি করতে পারেন। একটি রুটি নিয়ে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করুন। তারপর তাতে চিনি মেশান। এবার যেখানে পিঁপড়ের বাসা থাকবে সেখানে রুটির টুকরোগুলি রেখে আসুন। তাতে খুব তাড়াতাড়ি ইতিবাচক ফল পাবেন।
আর্থিক সংকট দূর করতে- হাতের টাকা জলের মত খরচ হয়ে যাচ্ছে। কোনও ভাবেই টাকা সঞ্চয় করতে পারছেন না। তাহলে জ্যোতিষ মতে রান্নাঘরে দিনের প্রথম তৈরি রুটি চার টুকরো করুন। প্রথম টুকরোটি গরুকে খাওয়ান, দ্বিতীয়টি কুকুরকে আর তৃতীয়টি কাককে আর চতুর্থ টুকরোটি দরিদ্রদের খাওয়ালে উপকার পাবেন। দূর হবে আর্থিক সমস্যা।