আসল বা নকল হীরে চিনে নিন সহজেই!

  • আসল হীরে চেনার কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে
  • রত্নবিশেষজ্ঞ রেনি হির্চ জানিয়েছিলেন আসল হীরে চেনার কিছু উপায়
  • কৃত্রিম হীরেতে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষলেই দাগ পড়ে যাবে
  • খাঁটি হীরার প্রতিফলনে বেশির ভাগই ধূসর ভাব থাকে
     

deblina dey | Published : Aug 3, 2019 4:33 AM IST

হীরের গয়না কার না ভালো লাগে! অনেক চিন্তা ভাবনা করে যদিও বা একটা কিনে ফেললেন, তবে আসল কী না তা বুঝবেন কী করে? আসল হীরে চেনার কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। রত্নবিশেষজ্ঞ রেনি হির্চ সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য জানিয়েছিলেন আসল হীরে চেনার কিছু উপায়। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়ম গুলি কী কী!
এটা নিশ্চয়ই অনেক সময় লক্ষ্য করেছেন বাথরুমের আয়নায় নাক-মুখের নিঃশ্বাস ফেললে আয়নার কাঁচ যেমন ঝাপসা হয়ে যায়। আমরা অনেকেই এমন পদ্ধতির ব্যবহার করে চশমাটাও মাঝে মধ্যেই একটু পরিষ্কার করে নিই। ঠিক সেই ভাবেই হীরের উপর মুখের গরম বাতাস দিন যদি তা ঝাপসা হয়ে খুব দ্রুত ঝাপসা ভাব কেটে যায় তবে বুঝবেন হীরেটি নকল। খাঁটি হীরে হলে ঝাপসা ভাব কাটতে সময় লাগে।
হীরা সবচেয়ে শক্ত বস্তু, এই বিষয়টি আমাদের সকলেরই জানা। তাই কোনও কিছু দিয়েই একে ঘষে সহজেই মসৃণ করা যায় না। কিন্তু যদি নকল বা কৃত্রিম হীরে হলে তাতে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষলেই দাগ পড়ে যাবে।
হীরে যে পরিমাণ আলো ধরে রাখতে পারে, কাঁচ, কোয়ার্টজ বা ত্রিকোণাকৃতি জিরকোনিয়াম তা পারে না। একটি আসল হীরা যদি কোনও লেখা কাগজের উপর রাখেন, তবে এর ভেতরে কাগজের লেখার কোনও প্রতিসরণ ঘটবে না। তবে হীরেটি যদি নকল হয়, সেক্ষেত্রে তার মধ্যে লেখার অক্ষর দেখা যাবে।
খাঁটি হীরেতে আলো ফেললে এর ভেতরে যে আলোর ছটা দেখা যাবে, তাকে বলা হয় 'ব্রিলিয়ান্স'। আর বাইরের দিকে প্রতিফলিত হয় রামধনুর রঙের, যাকে বলা হয় 'ফায়ার'। নকল হীরের ক্ষেত্রে পাথরের ভেতরেই রামধনু রং দেখতে পাওয়া যাবে। খাঁটি হীরার প্রতিফলনে বেশির ভাগই ধূসর ভাব থাকে।

Share this article
click me!