পান থেকে তৈরি তেল শুধু চুলের সমস্যাই দূর করতে পারে না ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সহায়ক। এখন প্রশ্ন হল পানের তেল কিভাবে তৈরি করা যায়।
আপনি নিশ্চয়ই পুজোয় বা পানের দোকানে পানের ব্যবহার দেখেছেন। কিন্তু জানেন কি পান পাতা চুল ও ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। পান পাতার নাম শুনেই অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন পান তো শুধু মুখ শুদ্ধি আর হজমের কাজেই লাগে, রূপচর্চায় পান পাতার আবার ভূমিকা কিসের! তবে সেক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য যে রূপচর্চা থেকে চুলের সমস্যা সব কিছুতেই উপকারী পানপাতা। শুধু তাই নয় চুলের নানারকম সমস্যায়ও কাজে লাগে পান পাতা। তাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে নানা বিদেশী প্রসাধনী ব্যবহার না করে বরং চুল এবং ত্বকের যত্নে রাখতেই পারেন পান পাতা। তাতে টাকাও কম খরচ হবে আর সঙ্গে চুল ও ত্বকের লাবণ্যও বাড়বে।
এবার জেনে নিন পান থেকে তৈরি তেল শুধু চুলের সমস্যাই দূর করতে পারে না ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সহায়ক। এখন প্রশ্ন হল পানের তেল কিভাবে তৈরি করা যায়। আজকের প্রতিবেদনটি এই বিষয়ে। আজ আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাকে জানাব কিভাবে আপনি পানের তেল তৈরি করতে পারেন।
কিভাবে পানের তেল তৈরি করবেন
প্রথমে পান ভালো করে কেটে পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন।
এবার একটি প্যানে নারকেল তেল দিয়ে গরম করুন এবং তেল যথেষ্ট গরম হয়ে গেলে পান শুকিয়ে প্যানে রাখুন। পানের সাথে হিবিস্কাস পাতা দিন এবং তারপরে, নারকেল তেল লাল হয়ে গেলে, গ্যাস গরম করে ছেঁকে নিন।
তেল ঠাণ্ডা করার পর একটি টাইট বোতলে ভরে তারপর ব্যবহার করুন।
পানের তেলের উপকারিতা
এই তেল শুধু চুল পড়া বন্ধই করে না চুলকে মজবুতও করে।
ত্বকের চুলকানি ও শুষ্কতার সমস্যা দূর করতে এই তেল খুবই উপকারী।
আপনি যদি ব্রণ এবং ব্রণ নিয়ে সমস্যায় থাকেন তবে পানের তেল আপনার সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
ব্রণ ও দাগ দূর করতেও পানের তেল খুবই উপকারী।
পানের তেল ত্বকের প্রদাহ এবং ক্র্যাম্প উপশমে খুবই উপকারী।
আপনি যদি পান পাতা ব্যবহারের কারণে ত্বকে কোনো ধরনের অ্যালার্জি বা চুলকানি অনুভব করেন, তাহলে এই তেলটি আপনার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। এমন অবস্থায় এই তেল ব্যবহার করবেন না।