এই দিন বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে সংসারের সার্বিক সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ব্রত পালনের মাধ্যমে নানা শুভ ফল লাভ করা যায়। এছাড়া এইদিন যদি উপোস করে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেন তাহলেও ভগবান আপনার মনোবাসনা পূর্ণ করবেন।
৩০ অগাস্ট জন্মাষ্টমী। বিশ্বব্যাপী কৃষ্ণপ্রেমীরা এই দিনটি উৎযাপন করেন। বৃন্দাবন-সহ পুরও ব্রজভূমিতে নানা রীতি নীতির মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। শাস্ত্র মতে, জন্মাষ্টমী উৎসব ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে নন্দদুলাল শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথি পালিত হয়। এই উৎসবের অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি।
এই দিন বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে সংসারের সার্বিক সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ব্রত পালনের মাধ্যমে নানা শুভ ফল লাভ করা যায়। এছাড়া এইদিন যদি উপোস করে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেন তাহলেও ভগবান আপনার মনোবাসনা পূর্ণ করবেন। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, যে কোনও বিশেষ দিনের একটা মাহাত্ম্য আছে। সেই বিশেষ দিনগুলিতে আমরা যদি বিশেষ কিছু কাজ করি তা হলে নানা সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। ঠাকুরের পুজোর জন্য আমরা সব সময় কোনও না কোনও কেনাকাটা করে থাকি। জন্মাষ্টমীর দিন এমন কিছু জিনিস কিনুন যা শ্রীকৃষ্ণের পাশাপাশি লক্ষ্মীকেও সন্তুষ্ট করা যায়। এর ফলে পরিবারে আর্থিক অভাব আর থাকবে না।
কোন কোন জিনিস কিনবেন দেখুন...
জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণের পায়ে শুকনো হলুদের গাঁট হলুদ কাপড়ে মুড়ে অর্পণ করতে হবে। পুজো শেষে সেগুলি টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিলে জীবনে আর্থিক কষ্ট হবে না। প্রয়োজনে আপনার আলমারির লকার অথবা ব্যাগের মধ্যেও ঢুকিয়ে রাখতে পারেন।
শ্রীকৃষ্ণের জন্য ময়ূরের পালক খুবই শুভ। তাই এই বিশেষ দিনে একটি ময়ূরের পালক নিয়ে আসুন কিনে। তারপর তা শ্রীকৃষ্ণের সিংহাসনে রেখে দিন।
জন্মাষ্টমীর দিন কৃষ্ণকে হলুদ বসন পরান। তাঁকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তুলুন। দেখবেন আপনার মনও ভালো হয়ে যাবে।
এদিন শ্রীকৃষ্ণের পায়ে পদ্মফুল অর্পণ করুন। এতে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আসলে এই ফুল লক্ষ্মীর পাশাপাশি শ্রীকৃষ্ণেরও খুবই প্রিয়। তাই এর ফলে সংসারে আর্থিক উন্নতি হবেই।
মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে এই দিন শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করুন হলুদ রঙের ফুল।
আর তালের বড়া থেকে শুরু করে এদিন তালের তৈরি ভোগ শ্রীকৃষ্ণ দিতে ভুলবেন না।