কারও মতে, শ্রীকৃষ্ণ ময়ূরের পেখম খুবই পছন্দ করতেন। এইজন্য নিজের মুকুটের মধ্যে সব সময় তা রাখতেন তিনি।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুকুটে ময়ূরের পালক থাকে। জন্মাষ্টমীতে তাঁকে সাজানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় ময়ূরের পালক বিক্রি হয়। প্রচলিত রয়েছে, শ্রীকৃষ্ণের সিংহাসনে ময়ূরের পালক রাখলে নাকি ভগবানকে সন্তুষ্ট করা যায়। এই মুকুটের জন্য শ্রীকৃষ্ণকে মুকুটধারীও বলা হয়ে থাকে। তবে শ্রীকৃষ্ণ কেন মুকুটের মধ্যে ময়ূরের পালক রাখতেন তা নিয়ে একাধিক গল্প প্রচলিত রয়েছে।
কারও মতে, শ্রীকৃষ্ণ ময়ূরের পেখম খুবই পছন্দ করতেন। এইজন্য নিজের মুকুটের মধ্যে সব সময় তা রাখতেন তিনি। আবার জ্যোতিষবিদদের মতে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় তাঁর রাশিতে কিছু দোষ ছিল। তাই সেই দোষগুলির অশুভ প্রভাব দূর করতেই সর্বদা মাথায় ময়ূরের পালক রাখতেন।
১৯৬৭ সালে সোলানে জ্যোতিষ সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে শ্রীকৃষ্ণের জন্মকুণ্ডলী নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। সেখানে এক জ্যোতিষীর মতে, শ্রীকৃষ্ণের রাশিতে কালসর্প যোগ ছিল। সেই দোষের অশুভ প্রভাব পড়ছিল তাঁর জীবনে। আর সেই প্রভাব কাটানোর জন্যই মাথায় ময়ূরের পালক পরতেন তিনি।
আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমী জমে উঠুক তালের বড়ায়, জেনে নিন সহজ রেসিপি
আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমীর দিন এই নিয়ম মেনে কৃষ্ণের পুজো করলেই মনের ইচ্ছা হবে পূরণ, দূর হবে দুঃখ-দুর্দশা
প্রচলিত রয়েছে আরও একটি গল্প। ছেলেবেলায় কৃষ্ণ একেবারেই শান্ত ছিলেন না। সব সময় তাঁর মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি ঘোরাফেরা করত। একদিন গবাদিপশুদের নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দেখতে পান যে তাঁর সঙ্গীরা ঘুমিয়ে পড়েছে। আর সঙ্গীদের ঘুম ভাঙাতে বাঁশি বাজাতে শুরু করেন শ্রীকৃষ্ণ।
তাঁর বাঁশির সুর এতটাই সুন্দর ছিল যে তাতে আনন্দিত হয়ে নাচতে শুরু করেছিল একদল ময়ূর। এতে শ্রীকৃষ্ণ বুঝতে পারেন যে ময়ূররাজ তাঁকে নাচের জন্য অনুরোধ করছেন। সেই অনুরোধ স্বীকার করেন শ্রীকৃষ্ণ। তারপর তিনিও নাচতে শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ একসঙ্গে নাচেন তাঁরা। এরপর ময়ূররাজ তাঁর পায়ের কাছে একটি পালক নিবেদন করেছিলেন। আর সেই পালক শ্রীকৃষ্ণকে মাথায় পরে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। সেই থেকেই মুকুটে পালক পরতে শুরু করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।