গাছ-গাছালি লাগালে শুধু আমাদের ঘরই সুন্দর দেখায় না, এগুলিকে ইতিবাচক শক্তির একটি ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বাড়িতে গাছপালা থাকলে হারানো সমৃদ্ধি ফিরে আসে।
জ্যোতিষশাস্ত্র কোনও ব্যক্তির ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। এমনকী, সেই ব্যক্তির চাকরি, প্রেম, দাম্পত্য ঠিক কেমন কাটবে তা নিয়েও গণনা করে অনেক কথাই বলে দেওয়া যায়। আসলে এক একটা রাশি এক এক ধরনের হয়ে থাকে। যখন যে রাশির উপর যে গ্রহের প্রভাব পড়ে তখন সেই রাশির সঙ্গে ঠিক তেমনটাই ঘটতে থাকে। কখনও সময় ভালো যায় তো কখনও খারাপ। আবার গ্রহের অবস্থান বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। কোনও কিছুই খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তবে শুধুমাত্র মানুষের ভবিষ্যৎই নয়, কোনও মানুষ ঠিক কেমন ধরনের তাও জানা যায় জ্যোতিষের মাধ্যমেই।
গাছ-গাছালি লাগালে শুধু আমাদের ঘরই সুন্দর দেখায় না, এগুলিকে ইতিবাচক শক্তির একটি ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বাড়িতে গাছপালা থাকলে হারানো সমৃদ্ধি ফিরে আসে। সুখ-শান্তির পরিবেশ থাকে এবং ঘরে কখনো অর্থের অভাব হয় না। আপনি প্রায়শই দেখেছেন যে লোকেরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বাড়ির ভিতরে মানি প্ল্যান্ট লাগায়। কিন্তু আপনি কি এমন গাছের কথা জানেন, যেগুলো বাড়ির মূল প্রবেশপথে লাগিয়ে অনেক টাকা আয় হয়।
জ্যোতিষাচার্যের মতে, বাড়ির মূল দরজার বাম দিকে শমীর গাছ লাগালে খুব ভালো লাগে। এই স্থানে শমীর গাছ রাখলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সবসময় থাকে এবং ঘরে অর্থের অভাব হয় না।
একইভাবে, মূল ফটকের ডান পাশের ডালিম গাছটিও একজন ব্যক্তিকে ভাগ্যবান করে তোলে। মূল ফটকের ডান পাশে একটি ডালিম গাছ লাগালে দেবী লক্ষ্মী ও ধনকুবের আপনার দরজায় টেনে আনবেন। আপনি যদি খরচ কমাতে এবং ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স উন্নত করতে চান, তাহলে আপনি মূল গেটে বেল পাত্রের একটি গাছও লাগাতে পারেন।
কথিত আছে ‘behind banana, next to bell, then see Lakshmi’s game’। অর্থাৎ বাড়ির পিছনে একটি কলা এবং সামনে বেল পাতার চারা রোপণ করাও খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করলে, বাড়িতে অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। লোন বা লোনে দেওয়া টাকাও আপনার দোরগোড়ায় নিজে থেকে ধরা দেবে।