জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, জাতক বা জাতিকার রাশি তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। একইভাবে কোনও ব্যক্তির আচরণ এবং তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে সেই ব্যক্তির জন্ম সময়, কাল বা জন্ম মাসের উপর। একজন মানুষ সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেওয়া সম্ভব তার রাশির বিষয়ে জ্ঞান থাকলে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এমন চারটি রাশি রয়েছে যাদের বয়স বাড়লেও তাঁদের মধ্যে শিশু সুলভ আচরণ থেকেই যায়। ফলে জীবনে সত্যের মুখোমুখি হতে এদের মানসিক ভাবে খুব দুর্বল করে দেয়। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই চার রাশির নাম যারা বড় হওয়ার পরেও শিশু সুলভ আচরণ করে থাকে।
মেষ- রাশিচক্রের প্রথম এই রাশি সাহসী ও সেই সঙ্গে ইমপালসিভ। এঁরা খুব দ্রুত বন্ধুত্ব করতে পারেন। আবার সামান্য আঘাত পেলে বা মনের মন কোনও কাজ না হলে এরা খুব সহজেই রেগে যান। আর নিজেকে সামলাতে পারেন না। এমন কিছু আচরণ করে ফেলেন যাতে যা একবারেই অপরিণত বয়সের মত।
মিথুন- রাশিচক্রের তৃতীয় এই রাশির জাতক-জাতিকারা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির প্রতি এরা সিরিয়াস নয়। আড্ডা জমিয়ে তুলতে এরা পটু। তবে কোনও ঝামেলায় এরা সহসা জড়াতে চায় না। এরা মনের দিক থেকে চির যৌবন যতই বয়স বাড়ুক।
কর্কট— রাশিচক্রের চতুর্থ এই রাশি খুব নির্বাচন করে তবে বন্ধু বাছাই করেন। তবে বন্ধু হিসেবে এঁরা খুব বিপদ থেকে উদ্ধার করতে এরা সব সময় সাহায্য করে। এরা কথায় কথায় ছোটদের মত রাগ করে। আবার মতের অমিল হলে মন খারাপও করে। তাই মনে করা হয় এই রাশির মধ্যে শিশুসুলভ আচরণ বয়স বাড়লেও থেকেই যায়।
মীন— রাশিচক্রের দ্বাদশতম রাশি মীন। এই রাশির জাতক-জাতিকারা অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। এরা একেবারে নিজস্ব ভাবনার জগতে বাস করেন। তবে পাশাপাশি এরা অত্যন্ত বাস্তববাদী। তবে এরাও খুব রেগে গেলে কথা বলার বদলে কেঁদে ফেলে। এদের মধ্যেও তাই বয়স বাড়লেও শিশুসুলভ আচরণ থেকেই যায়।