জ্যোতিষ্ক বিষয়ক তথ্য, সূত্রাবলী ও ব্যবহারিক প্রয়োগসমূহের সামগ্রিক জ্ঞান জ্যোতিষশাস্ত্র নামে পরিচিত। এই শাস্ত্রের উৎপত্তিকালে জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান এক এবং অভিন্ন ছিল। পরবর্তিকালে জ্যোতিষশাস্ত্র জ্যোতিষ্কগুলির গতি এবং অবস্থানের ভিত্তিতে, প্রাকৃতিক এবং শারীরিক লক্ষণ অথবা দুয়ের সমন্বয়ে ব্যক্তি, সমষ্টি বা দেশের ভবিষ্যৎ নিরুপণের প্রায়োগিক দিকটি নিয়ে অভিজ্ঞতাভিত্তিক জ্ঞানের সংগ্রহ হিসেবে বিস্তার লাভ করে।
আরও পড়ুন- খেতে বসে এই কাজগুলি ভুলেও নয়, সংসারে অভাব পিছু ছাড়বে না
এই জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, জন্ম ছকে রবি ও শুক্র কাছাকাছি বা একই নক্ষত্রে অবস্থান করলে দারিদ্র্য যোগ তৈরি হয়। এছাড়া জাতক বা জাতিকার রাত্রিতে জন্ম হলে, লগ্ন যদি চর রাশিতে থাকে এবং শুভ গ্রহ দুর্বল হয়ে কেন্দ্র ও ত্রিকোণগত হয়, পাপ গ্রহগণ কেন্দ্র ভিন্ন অন্যস্থানে থাকে,তাহলে ভিক্ষুক যোগ হয়। আপনার হাতে যদি ভাগ্য রেখা এবং রবি রেখা যদি ভগ্ন অবস্থায় থাকে, তাহলে দারিদ্র যোগ দেখা দেয়। অষ্টমপতি, ভাগ্যপতি অপেক্ষা বেশি শক্তিশালী হয় এবং আয়পতি কেন্দ্রগত হয়ে রবি দ্বারা আবদ্ধ হয় তাহলে জাতক বা জাতিকার দারিদ্রতার সীমা থাকে না। আবার যদি শনির অবস্থান পাপদৃষ্ট হয় এবং রবি বুধ লগ্নে থাকে তাহলে জাতক সারাজীবন দারিদ্রতা থাকবে।
আরও পড়ুন- মে মাস কেমন প্রভাব ফেলবে কুম্ভ রাশির উপর, দেখে নিন
মনে করা হয় লগ্নের দশমে, রবির একাদশে এবং চন্দ্রের অষ্টমে কোনও গ্রহ না থাকলেও জাতক জাতিকাকে প্রায় সারাজীবন দারিদ্র্য যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। এছাড়া যদি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি এই গ্রহগুলি পঞ্চম, ষষ্ঠ, অষ্টম ও দশমস্থানে অবস্থান করলে এই যোগ দেখা যায়। একইসঙ্গে দ্বাদশপতি নীচস্থ ও রবি দগ্ধ অস্তমিত হলে জাতক ও জাতিকাকে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে জীবনযাপন করতে হবে। আবার কখনও বৃহস্পতি লগ্নপতি বা অষ্টমপতি হয়ে ভাগ্যপতি অপেক্ষা, বেশি বলবান হলে এবং শুক্র ও রাহু, শুক্র ও রবি নীচস্থ হয়ে বা একসঙ্গে অবস্থান করলে অভাব দেখা দেয়। আর এই অভাবের কারন থেকেই জাতক জাতিকার স্বভাব নষ্ট হয়ে যায়।