মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি মেতে, প্রতি শুক্রবার মেনে চলুন এই নিয়ম

  • দেবাদিদেব মহাদেবের পুজোয় জীবন হয়ে ওঠে সুন্দর ও সুস্থির
  • শিবের পুজোর সময় কিছু নিয়ম পালন করলে জীবনে দারুণ সুফল পাওয়া যায়
  • সোমবার শিবের পুজো করলে সকল মনের ইচ্ছে পূরণ হয়
  • শুক্রবারে শিবের পুজো করলে মুক্তি পাবেন মানসিক অবসাদ থেকে

deblina dey | Published : Jan 9, 2020 5:41 AM IST

শাস্ত্রমতে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজোয় জীবন হয়ে ওঠে সুন্দর ও সুস্থির। অনেকেই মনে করেন, সোমবার ও শুক্রবারে শিবের পুজো করলে সকল মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। তাই বিধি সহকারে অনেকেই সোমবার মহাদেবের পুজো করে থাকেন।  কিন্তু জানলে অবাক হবেন শুক্রবারেও শিবের পুজো করলে মুক্তি পাবেন মানসিক অবসাদ থেকে। এই পুজোর সঙ্গে সঙ্গে সহজ কিছু নিয়ম পালন করলে জীবনে দারুণ সুফল পাওয়া যায়। মানসিক অবসাদ ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে এই বিশেষ নিয়মে করুন শিবের পুজো।

আরও পড়ুন- এই দশকে থাকুন বিপদমুক্ত, রত্ন ধারনে মেনে চলুন বিশেষ এই নিয়মগুলি

শিব হলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ দেবতা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-লয়রূপ তিন কারনের কারন, পরমেশ্বর- এটা তার প্রণাম মন্ত্রেই বার বার উঠে এসেছে। শিবমূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল তার তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, অস্ত্র ত্রিশূল ও বাদ্য ডমরু। শিবকে সাধারণত ‘শিবলিঙ্গ’ নামক বিমূর্ত প্রতীকে পুজো করা হয়। সমগ্র হিন্দু সমাজে শিবপুজো প্রচলিত আছে। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে শিব পুজোর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। 

আরও পড়ুন- জানুয়ারি মাস কেমন প্রভাব ফেলবে সিংহ রাশির উপর, দেখে নিন

সোমবার ও শুক্রবার শিবের পুজো করার সময় মহাদেবকে চাল অর্পন করতে ভুলবেন না। এমনটা মনে করা হয়, এই পুজোর সময় চাল অর্পন করলে আর্থিক সমস্যা কমে যায় এবং অর্থ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এদিনগুলি উপোস করে শিবমন্ত্র জপ করলে দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ৷ ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করে আরাধনা করুন দেবাদিদেব-এর। মহাদেবের পুজোয় আকন্দ ফুলের মালা, ধুতরা ফুল, দুধ দিয়ে স্নান করান। সম্ভব হলে যব দিয়ে মহাদেবের আরাধনা করুন। এই নিয়মে পুজো করলে বাড়ির ভিতরের অশুভ শক্তি দূরে সরে যায় এবং শুভ শক্তি প্রবেশ করে বলে মনে করেন অনেকে। শাস্ত্রমতে, সোমবার ও শুক্রবারে মহাদেবের পুজোয় গম অর্পন করলে দ্রুত সন্তান ধারণের স্বপ্ন পূরণ হয়। এই দুই দিনে মহাদেব-কে তিল অর্পন করে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র উচ্চারণ করলে দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। শরীর থেকে সমস্ত রোগ দ্রুত নিরাময় হয়ে যায়। এমনকি শনির সাড়ে সাতি দশার প্রকোপও কমতে শুরু করে।

Share this article
click me!