শাস্ত্র মতে পুজোয় ব্যবহৃত ফুলের রয়েছে বিশেষ তাত্পর্য। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ঠাকুরকে ফুল উত্সর্গ করার মাধ্যমে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। সমস্ত দেব-দেবীরা বিশেষ কোনও না কোনও ফুল পছন্দ করেন বা সেই পুজোয় ব্যবহার করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কোন দেবতার পুজোয় কোন ফুল ব্যবহার করলে মনের সকল ইচ্ছে পূরণ হবে জেনে নিন-
আরও পড়ুন- প্রতিদিন আজান্তে করা এই ছোট ভুলগুলি জীবনে ডেকে আনে চরম দারিদ্রতা
দুর্গা পুজো বা মায়ের যে কোনও রূপের পুজোয়, সাদা পদ্ম, পলাশ, চম্পার ফুল পছন্দ করেন। কালী পুজো হলে জবা ফুল। দেবাদিদেব মহাদেব এর পুজোয় যে ফুল উত্সর্গ করা হয় সেগুলি মায়েরও প্রিয়। মা লক্ষ্মীর পুজোয় অন্যতম উপাচার হল পদ্ম ফুল। এই ফুল মা লক্ষীর অত্যন্ত পছন্দের। পদ্ম ছাড়াও মা লক্ষ্মী লাল গোলাপ এবং হলুদ ফুল পছন্দ করেন। গোপাল পুজোতেও নারায়ণ পুজোর মতই করবী, মালতী, পলাশ এবং গাঁদা ও তুলসী পাতা পুজোতে অর্পণ করা উচিত। মা সরস্বতীর পুজোয় সাদা এবং হলুদ রঙা ফুল ব্যবহার করতে পারেন। মা সরস্বতীর পুজোতে সাদা গোলাপ ব্যবহার করতে পারেন। এই ফুল মা সরস্বতীর বিশেষ পছন্দের ফুল।
আরও পড়ুন- বছরের প্রথম মাস কেমন কাটবে মকর রাশির, দেখে নিন
ভগবান শিবের পুজোয় নাগকেশরের সাদা ফুল বা ধূতরা ফুল, শুকনো পদ্ম গাট্টা, নীলকন্ঠ ফুল ও নিঁখুত বেলপাতা পছন্দ করেন। শিবের উপাসনায় তুলসী পাতা দেওয়া উচিত নয়। গণেশ প্রথম পূজিত দেবতা। দুর্বা সবচেয়ে বেশি প্রিয় গণেশ এর। গণেশের পুজোতে তুলসী নিষিদ্ধ। তুলসী বাদে আপনি গণেশকে কোনও ফুল দিতে পারেন। নারায়ণ-এর পুজোর অন্যতম উপাদান হল তুলসী পাতা। ভগবান নারায়ণ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। তুলসী ছাড়াও পদ্ম, মালসিরি, জুঁই, কদম, মালতী, বাসন্তী, চম্পা ফুলও দেওয়া হয় নারায়ণ এর পুজোয়। বজরঙ্গবলীর পুজোয় আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোনও ফুল ব্যবহার করতে পারেন। লাল ফুল, গাঁদা ফুল বজরঙ্গবলীর খুব পছন্দ।