সোমবার, ১ জুন, জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশম দিন। এই তিথিতে দেশ জুড়ে গঙ্গা দশেরা পালিত হয়। এই তিথিতে পবিত্র গঙ্গাকে পুজো করা হয়ে থাকে। এই দিনে গৃহস্থের উন্নতির জন্য বাড়িতে গঙ্গাজল এনে সংরক্ষণ করার রীতি রয়েছে। প্রাচীনকালে, রাজা ভগীরথ গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আনতে তপস্যা করেছিলেন। তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী গঙ্গা পৃথিবীতে অবতরণ করলেন। তাই এই তিথিতে ঘরে গঙ্গার জল আনার রীতি প্রচলিত। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচকতা বজায় থাকে। জেনে নিন জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে গঙ্গার জল সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-
গঙ্গার জলের জন্য শুভ ধাতু
আমরা প্রায় সকলেই গঙ্গাজল প্লাস্টিকের বোতলে সংরক্ষণ করি। তবে শাস্ত্র মতে, এটি একেবারেই উচিৎ নয়। গঙ্গাজলকে প্লাস্টিকে রাখা একেবারেই উচিত নয়। বরং তামা, রৌপ্য বা সোনার অথবা মাটির পাত্রে রাখা মঙ্গলজনক। গঙ্গাজল বাড়িতে অথবা মন্দিরে নিয়মিত পুজোর সময় ব্যবহার করা হয়। যা বাস্তুর জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে ঘরে সর্বদা পজেটিভ এনার্জি বজায় থাকে।
বাড়িতে গঙ্গার জল ছিটিয়ে দিন
ঘরে ইতিবাচকতা এবং বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে গঙ্গার জল সকালে এবং সন্ধ্যায় পুজোর সময় ছিটিয়ে দেওয়া উচিত। সকালে এবং সন্ধ্যার পুজোর আগে বাড়ি পরিষ্কার করে তবেই গঙ্গা জল দেওয়া উচিত। এটি করে বাস্তু দোষের প্রভাব দূর করা যেতে পারে। এর প্রভাব নেতিবাচকতা শেষ করে।
শিবলিঙ্গে গঙ্গার জল অর্পণ করতে হবে
নিয়মিত শিবলিঙ্গ পুজো করুন এবং শিবকে গঙ্গার জল দিয়ে অভিষেক করুন। সম্ভব হলে পদ্ম ফুলে কয়েক ফোঁটা গঙ্গার জল ছিটিয়ে তা শিবলিঙ্গে জলের উপরে অর্পণ করুন। উচ্চ নম: শিবায়া মন্ত্র জপ করুন। এতে জীবনের বহু সমস্যা কেটে যাবে।