জ্যোতিষ মতে সৌভাগ্য আর সমৃদ্ধি পাওয়ার অনেকগুলি উপায় রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল জলের প্রতিকার।
সব মানুষই চায় সুখ আর সমৃদ্ধি পেতে। কিন্তু সেই সৌভাগ্য সকলের হয় না। তবে জ্যোতিষ মতে সৌভাগ্য আর সমৃদ্ধি পাওয়ার অনেকগুলি উপায় রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল জলের প্রতিকার। জ্যোতিষ মতে এমন অনেক জলের কতগুলি প্রতিকার রয়েছে যা মেনে চললে আর্থিক সংকট দূর হয়। ঘরোয়া এই প্রতিকারগুলি যেকোনও মানুষই মেনে চলতে পারেন।
১. স্নানের জলে যদি এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে স্নান করেন তহলে দ্রুত আর্থিক সংকট দূর হবে। জ্যোতিষ মতে হলুদ ছাড়াও মধু, চিনি আর নুন যদি স্নানের জলে মিশিয়ে রাখেন তাহলে ভাল ফল পাবেন।
২. স্নানের আগে অবশ্যই সূর্য প্রমাণ করুন। যদি গঙ্গা স্নানে যান তাহলে অবশ্যই এক চিমটি সিঁদুর সেই জলে দিয়ে দিন তা সূর্যকে অর্পণ করেন। তাগলে সম্পদের পাশাপাশি মান ও সম্মান বাড়বে।
৩. একটি পাত্রে জল ভরে বাড়ি উত্তর পূর্ব দিকে রেখে দিলে আর্থিক সংকট দূর হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
৪ . বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কাটানোর জন্য এক পাত্র গঙ্গাজল রেখে দিন বাড়ির মূল দরজার বাইরে। এতে বাড়িতে কারও কুনজর পড়বে না।
৫. আর্থিক সংকট দূর করার জন্য প্রতিদিন তুলসী গাছে জল দিতে পারেন। তাহলে বিষ্ণু আর নারায়ণ দুজনেই কৃপা পাবেন।
৬. প্রতিদিন শুদ্ধ জলে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। তাহলে মহাদেবের আশীর্বাদে যাবতীয় বাধা কেটে যাবে।
৭. বাড়িতে কখনই জলের অপচয় হতে দেবেন না। কল খারাপ হয়ে গেলে অনবরত জল পড়া খুব খারাপ বলে মনে করা হয়। এতে অর্থ অপচয় হয়।
৮. বাড়িতে ফুঁটো হয়ে যাওয়া বাতলি বা কলসী বা পাত্র রাখবেন না। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয় এতে অর্থের অপচয় হয়।
৯. এই গরমকালে নিয়মিত পশু ও পাখিদের জল খাওয়ার ব্যবস্থা করুন। জ্যোতিষমতে মনে করা হয় এতে আর্থিক সংকট দূর হয়।
১০. বাড়িতে কোনও অতিথি এলে খালি একগ্লাস জল দেবেন না। সর্বদা মিষ্টির সঙ্গে তাঁকে জল দিন। তেমনই কোনও মানুষ যদি চায় তাহলে তাকে খালি জল দেবেন না। বাড়িতে মিষ্টি না থাকলে চিনি বা বিস্কুটও দিতে পারেন। এতে পরিবারের কল্যাণ হয়। কারণ অতিথি নারায়ণ। ভগবানের আশীর্বাদে আপনার সংসার সমৃদ্ধ হবে। সুখের হয় সংসার।