মৃত্যুর আগেই যেকোনও মানুষ বুঝতে পারেন যার মৃত্যু আসন্ন। কতগুলি সংকেত পান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
মৃত্যুর পদশব্দ শুনতে পান প্রতিটি মানুষ। তেমনই বলেছেন ভগবান শ্রীবিষ্ণু। গড়ুর পুরাণে রয়েছে- মৃত্যুর কয়েক দিন আগে থেকেই কোনও ব্যক্তি বা মহিলা বেশ কিছু লক্ষণপেতে শুরু করেন। যেগুলি গড়ুর পুরাণে মৃত্যুর পদশব্দ বলা হয়েছে। যেমন কোনও ব্যক্তি বা মহিলার হঠাৎ পছন্দের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। বা হঠাৎ করেই সেই খাবারটি খাওয়া হয়ে যায় যেটি তিনি পছন্দ করেন। আসুন জেনেনি এক জন ব্যক্তি বা মহিলা কী করে বুঝবেন তাঁর মৃত্যু আসন্নঃ
হিন্দু শাস্ত্রে গড়ুর পুরাণ ১৮টি মহাপুরাণের একটি। এটি বিষ্ণুর উপদেশ রয়েছে। যেকোনও হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুর পরে বাড়িতে এই পুরাণ পাঠ করা হয়। গড়ুর পুরাণে নীতি, নিয়ম, বিজ্ঞান, ধর্ম-কর্ম, পাপ, পুণ্য, মৃত্যু, আত্মা, সর্গ, নরক এমন কি পূর্নজন্মের কথাও বলা হয়েছে। তবে এই পুরাণে বর্ণিত মৃত্যু সংক্রান্ত রহস্যগুলি বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
গড়ুর পুরাণ অনুযায়ী যেকোনও ব্যক্তি বা মহিলা তার মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে মৃত্যুর পদশব্দ শুনতে পান। তিনি নিজেই উপলব্ধি করেন তাঁর মৃত্যু আসন্ন। ভগবান বিষ্ণু নিজেই গড়ুর পুরাণে বলেছেন, মৃত্যুর কয়েক দিন আগে থেকেই লক্ষণগুলি সামনে আসতে শুরু হয়ে যায়। মৃত্যুকে যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ঠিক মত গ্রহণ করতে পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা। তবে দুর্ঘটনায় আত্মহত্যার ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব কাজ করে না। হিন্দুশাস্ত্র একে অপমৃত্যু বলা হয়।
গড়ুর পুরাণে মৃত্যুর পদশব্দঃ
১. যখন কোনও মানুষের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে তখন সে তার ভালমন্দ সব কাজ মনে করতে থাকে। যাইহোক এই সংকেতগুলি খুব অল্পসময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
২. এটা বিশ্বাস করা হয় যে যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আলে তখন হাতের রেখা হালকা হয়ে যায়। এমনকি কখনও কখনও মৃত্যুর আগে হাতের রেখা অদৃশ্য হয়ে যায়।
৩. মৃত্যুর কয়েক দিন আগে পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। যদি তাদের কাঁদতে দেখা যায় বা তাদের মন খারাপ অবস্থায় স্বপ্নে দেখা যায় তাহলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে মৃত্যু ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে।
৪. মৃত্যুর মাত্র এক ঘণ্টা আগেই মৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহিলা যমদূতকে দেখতে পায়। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অনেকেই নেগেটিভ শক্তি অনুভব করতে পারে।
৫. যদি কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য মাত্র এক ঘণ্টা বাকি থাকে সেই সময় যদি কোনও মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে তার মৃত্যু আসন্ন। কারণ তার শরীরে রক্তচাপ কমে যায়। শরীর ঠান্ডা হয়ে। তাতেই মৃত্যু আসন্ন হয়ে যায়। এই সংকেত পাওয়া মাত্র পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্টের পাশে থাকা উচিৎ। তার প্রিয় গান বা নামসংকীর্তন করা উচিৎ।