জীবনের উন্নতির জন্য আচার্য চাণক্য নানা পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন।
তাঁর নীতি সঠিকভাবে মেনে চললে সাফল্যের পথ সুগম হয় এবং যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি সহজেই মোকাবেলা করা যায়।
ছাত্রদের মনোজগৎ খুব ভালো ভাবে বুঝতেন তিনি। চাণক্যের মতে, ছাত্রজীবনই শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময়টি মানুষের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করে।
তাই, এই জীবনটা যদি খুব সাবধানে কাটানো যায় তবেই ব্যক্তির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে। পড়য়াদের জন্য চাণক্য নীতিতে বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যায়। জেনে নিন, শিক্ষার্থীদের জন্য আচার্য চাণক্য কী উপদেশ দিয়েছেন।
আচার্য চাণক্য বলেন, যে ছাত্র ঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সে অসফলই থেকে যায়। জ্ঞান অর্জনের পরও তার জীবনে সাফল্য লাভ হয় না। তাই ঘুম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।
পাশাপাশি, সকল ছাত্রছাত্রীদের সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা এবং সঠিক সময়ে ঘুমনোও খুব জরুরি।
চাণক্যের মতে, যে ছাত্রছাত্রীরা বেশি কথা বলে, হাসি-ঠাট্টা করে, তারা ধীরে ধীরে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যায়। অনেক সময় অতিরিক্ত হাসি-ঠাট্টা মতভেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই শিক্ষার্থীর উচিত তার সীমার মধ্যে থেকে হাসি-ঠাট্টা করা।
চাণক্য নীতি অনুযায়ী, যে ছাত্র রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সে জ্ঞানী হয়েও একজন অজ্ঞের মতোই থেকে যায়। কারণ মানুষ রেগে গেলে তার চিন্তাভাবনা ও বোঝার ক্ষমতা কমে যায়। তাই বিদ্যার্থীদের উচিত রাগ নিয়ন্ত্রণ করা।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে লোভ থাকা উচিত নয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর লোভ সংবরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের একটাই জিনিসের প্রতি লোভ থাকা উচিত আর তা হল জ্ঞান অর্জন।
আচার্য চাণক্যের মতে, ছাত্রজীবনে সাজগোজ, মেকআপ থেকে দূরে থাকাই ভালো। কারণ যে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র সাজ-সজ্জায় মনোনিবেশ করে, তাদের পড়াশোনায় আগ্রহ থাকে না।
আলস্য পড়ুয়াদের সবচেয়ে বড় শত্রু। আলস্য ছাত্রছাত্রীদের অসাফল্যের দিকে ঠেলে দেয়। তাই আলস্য ত্যাগ করা উচিত। আচার্য চাণক্য জানান যে, একবার লক্ষ্য নির্ধারণ করার পর, তা পূরণের জন্য দিন-রাত এক করে দেওয়া উচিত।