রান্নার আগে অগ্নিদেবকে তুষ্ট করা জরুরি। আর সেই জন্য হিন্দু শাস্ত্র রয়েছে একটি টিপস।
খেয়াল করে দেখবেন কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে বা পুজোর রান্নার জন্য রান্নার ঠাকুর উনান ধরিতে তাতে একমুঠো আতপ চাল, একটা পানপাতা আর মিষ্টি বা বাতাসা ফেলে দেন। জানেন কি এটি কেন করা হয়? চাইলে আপনি বাড়িতেও রান্না শুরুর আগে এই কাজটি করে দেখতে পারেন। হিন্দু শাস্ত্রমতে এই কাজটি করলে কোনও দিনও ভাতের অভাব হবে না। এটিকে বলা হয় আহুতি দেওয়া। অগ্নিদেবকে তুষ্ঠ রাখতেই এই কাজটি করা হয়। প্রাচীন নিয়ম অনুযায়ী আগেকারদিনে এভাবেই নাকি রান্না শুরু করতেন দ্রৌপদী আর সীতা।
আপনি ভাবছেন আপনি গ্যাসে রান্না করেন বা ইনডাকশানে রান্না করেন। তাহলে কী করে দেবেন। চিন্তা নেই। তারও উপায় রয়েছে। তবে হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী অগ্নিদেব সবই গ্রাস করেন। তাঁকে আহুতি দিয়ে সন্তুষ্ট রাখাটাও জরুরি। আর সেই কারণেই রান্নার আগে অগ্নিদেবকে আহুতি দেওয়ার জন্যই আতপচাল পান পাতা আর মিষ্টি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আপনি যদি বাড়িতে গ্যাসে রান্না করেন তাহলে একটি অতপচাল আগুনের সামনে ধরে অগ্নিদেবকে স্মরণ করতে পারেন। আতপচাল যদি না থাকে তাহলেও ক্ষতি নেই, চিনিও ব্যবহার করতে পারে। বাঙালি পরিবারে চিনির সর্বদাই ঘরে থাকে। পানপাতা বা মিষ্টি দাবই দিনের। ইনডাকশন বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনা রান্না করলেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
মনে রাখবেন রান্না ঘর অত্যান্ত জরুরি। আর সেই কারণে রান্নার আগে অগ্নিদেবকে স্মরণ করা প্রয়োজন। নিত্যদিন রান্না শুরুর আগে যদি এই কাজটি করেন তাহলে তুষ্ট হবেন অগ্নিদেব। তাঁর আশীর্বাদেই পূর্ণ থাকবে আপনার সংসার। ঘরে কোনও দিনও চালের বা ভাতের অভাব হবে না। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এই কাজটি করলে পরিবার থেকে অনেক বাধাও দূর হয়।
তবে অগ্নিদেবকে তুষ্ট রাখার জন্য অবশ্যই রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখবেন। রান্নাঘরে কোন ময়লা বা ভাঙা বাসন রাখবেন না। আর সবজির খোসা বা যেকোনও পচা জিনিস রান্না ঘরে রাখবেন না। তাতে উপকার হবে পরিবারের।