অনেকে বিশ্বাস করেন যে পায়ে কালো সুতো থাকলে খারাপ দৃষ্টি দূরে থাকবে এবং তাদের জীবনে সৌভাগ্য আসবে। কালো সুতো পরার সঙ্গে অনেক বিশ্বাস জড়িত আছে, হাতে, কব্জিতে, গোড়ালিতে বা ঘাড়ে, যেখানেই হোক না কেন।
আমাদের আশেপাশে অনেক নারী এবং পুরুষদের পায়ে গোড়ালির চারপাশে কালো সুতো পরা থাকতে দেখা যায়। আমরা নিজেরাও অনেক সময় কোনও কারণ না জেনেই পায়ে কালো সুতো পরে থাকি। অনেকেই এটাকে স্টাইলিশ বলে মনে করে, অনেকে আবার কালো সুতো পরাকে পবিত্র হিসেবে বিবেচনা করে, যা তাদের চারপাশের নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করবে।
অনেকে বিশ্বাস করেন যে পায়ে কালো সুতো থাকলে খারাপ দৃষ্টি দূরে থাকবে এবং তাদের জীবনে সৌভাগ্য আসবে। কালো সুতো পরার সঙ্গে অনেক বিশ্বাস জড়িত আছে, হাতে, কব্জিতে, গোড়ালিতে বা ঘাড়ে, যেখানেই হোক না কেন।
যেকোনও গাঢ় রং বা কালো রঙের সুতো পরাকে পবিত্র বলে মনে করা গয়। বিশেষ করে পায়ে গিঁট দেওয়া হয়ে থাকলে। শিশুদের ক্ষেত্রেও একটি কালো সুতো পরিয়ে রাখা হিন্দুদের কাছে পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই কালো সুতো অনেকগুলি সমস্যা থেকে আমাদের দূরে রাখে বলে জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লিখিত আছে:
বিশ্বাস করা হয় যে, কালো সুতো পেটে ব্যথার সমস্যা নিরাময় করে। যদি কোনও ব্যক্তি লাগাতার পেটের সমস্যায় ভুগতে থাকেন, তাহলে পায়ের আঙ্গুলের চারপাশে একটি কালো সুতো বেঁধে রাখা উচিত।
যদি কেউ আর্থিক সমস্যায় ভুক্তভোগী হন, তাহলে মঙ্গলবার পায়ে কালো সুতো বাঁধা উচিত। এই কাজের দ্বারা যেকোনও আর্থিক সমস্যা কেটে যেতে পারে। বাড়িতে নগদ টাকার সংখ্যা তো বাড়বেই, অর্থ উপার্জন ও সঞ্চয় করে জীবনের লক্ষ্যও পূরণ করা সহজ হয়ে উঠবে।
যেকোনও চোট থেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া কঠিন মনে হতে পারে। পরবর্তীকালে সেই চোট কোনও বড় আকারও ধারণ করতে পারে। পায়ের আঙুলে বা গোড়ালির উপর কালো সুতো বেঁধে দিলে দ্রুত চোট সেরে যেতে পারে।
দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যেও কালো সুতো খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। হাতে, পায়ে, গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো সুতো পরা যায়।
হিন্দুরা ধর্মীয়রা বিশ্বাস করেন যে, কালো সুতো সমস্ত খারাপ নজর থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। সম্পদের প্রতি অন্যদের হিংসা কেটে গিয়ে জীবনের আনন্দের মুহূর্তগুলির যাতে ক্ষয় না হয়, তার জন্য এই সুতো পরাকে পবিত্র বলে মনে করা হয়।