যাদের রাশিতে রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাব থাকে তাদের জীবন বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। তাই রাহু কেতুর নাম শুনলেই মানুষ ভয় পায়। কথিত আছে রাহু কেতু দোষের কারণে কালসর্প দোষের সৃষ্টি হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহু-কেতুকে ছায়া বা পাপী গ্রহ বলা হয়। যাদের রাশিতে রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাব থাকে তাদের জীবন বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। তাই রাহু কেতুর নাম শুনলেই মানুষ ভয় পায়। কথিত আছে রাহু কেতু দোষের কারণে কালসর্প দোষের সৃষ্টি হয়।
এমন অবস্থায়, যদি আপনার কুন্ডলীতে রাহু-কেতুর দশা-মহাদশা থাকে, তবে আপনি অবশ্যই জানেন যে কোনও উপায়ে রাহু-কেতুর দোষ দূর হবে এবং আপনি ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। জ্যোতিষশাস্ত্রে এর জন্য অমূলক ও অলৌকিক ব্যবস্থা বলা হয়েছে, যার ফলে রাশিতে রাহু-কেতু দোষের প্রভাব কমে যায়। জেনে নিন এই কার্যকরী প্রতিকার সম্পর্কে।
রাহু-কেতু দোষ থাকলে কি হবে (রাহু কেতু দোষ প্রভাব)
রাহু দোষের কারণে মানসিক চাপ, আর্থিক ক্ষতি, বারবার মূল্যবান জিনিস হারানো, অতিরিক্ত রাগ, বারবার মৃত সাপ, টিকটিকি ও পাখি দেখা, নখের দুর্বলতা, পারিবারিক কলহ ও মামলা-মোকদ্দমা ইত্যাদি সমস্যা বাড়তে থাকে। কুণ্ডলীতে কেতু গ্রহের অশুভ প্রভাব থাকলে তা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। রাহুর ত্রুটি চুল পড়া, জয়েন্টে ব্যথা, চর্মরোগ, মেরুদণ্ডের সমস্যা, স্নায়ুর দুর্বলতার মতো অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। জীবন ও শরীরে এমন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাব পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার রাশিফল একজন জ্যোতিষীর কাছে দেখান এবং রাহু-কেতু দোষের ক্ষেত্রে জ্যোতিষীর পরামর্শে এই প্রতিকারগুলি করুন।
রাহু-কেতু দোষের প্রতিকার
রাহু দোষের ক্ষতিকারক প্রভাব কমাতে নীল রঙের পোশাক পরুন এবং কেতু দোষ থাকলে গোলাপী রঙের পোশাক পরুন। রুদ্রাক্ষের জপমালা নিয়ে পঞ্চমুখী শিবের সামনে বসে ' ওম নমঃ শিবায় ' মন্ত্র জপ করুন । এতে রাহু-কেতুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমে। রাহু-কেতু গ্রহের শান্তির জন্য বাড়িতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এমন একটি ছবি রাখুন, যাতে তিনি শেষনাগের উপর নৃত্য করছেন। প্রতিদিন এই ছবির পূজা করুন এবং 'ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ' মন্ত্রটি কমপক্ষে ১০৮ বার জপ করুন। এই প্রতিকার দ্বারা প্রচণ্ড রাহু-কেতুকে শান্ত করা যায়। গোমেদ রাহু গ্রহের রত্নপাথর। রাহু যদি কুণ্ডলীতে অশুভ হয় তবে জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে শনিবারে এই পাথরটি পরা উচিত।