বিয়ের পরে, বিবাহিত মহিলারা গলায় শ্রদ্ধার সাথে পরেন মঙ্গলসূত্র। মহিলারা তখনই নিজেদের থেকে মঙ্গলসূত্রকে আলাদা করেন যখন তাঁর স্বামী এই পৃথিবীতে থাকে না বা দুজনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। মঙ্গলসূত্র পরার এই নিয়মটি ঐতিহ্যগতভাবে বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে।
মঙ্গলসূত্রকে বিবাহের প্রতীক এবং বিবাহের চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দু ধর্মে বলা হয় যে বিবাহিত মহিলাদের জন্য কিছু জিনিস পরা বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে রয়েছে কপালে সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র এবং পায়ের আঙুলে পরা আংটি। বিয়ে করার আগে এবং পরে আমাদের অনেক রকম নিয়মকানুন মেনেও চলতে বলা হয়। যেমন বাঙালি বিবাহিত মহিলাদের শাঁখা-পলা পরার নিদান দেওয়া রয়েছে। হিন্দু বিবাহিত মহিলা মাত্রেই সিঁদুর পরবেন— এমন কথা শোনা যায় বহু যুগ ধরে।
অতএব, বিয়ের পরে, বিবাহিত মহিলারা গলায় শ্রদ্ধার সাথে পরেন মঙ্গলসূত্র। মহিলারা তখনই নিজেদের থেকে মঙ্গলসূত্রকে আলাদা করেন যখন তাঁর স্বামী এই পৃথিবীতে থাকে না বা দুজনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। মঙ্গলসূত্র পরার এই নিয়মটি ঐতিহ্যগতভাবে বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এর পেছনে রয়েছে মঙ্গলসূত্রে বিদ্যমান অলৌকিক গুণ।
হিন্দু ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী এক জন বিবাহিত মহিলাকে সব মিলিয়ে পাঁচটি সৌভাগ্য চিহ্ন দেহে বহন করতে হয়— সিঁদুর, চুড়ি, নাকছাবি, পায়ের আংটি এবং মঙ্গলসূত্র। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল এই মঙ্গলসূত্র। কিন্তু কেন বিয়ের সময়ে এই মঙ্গলসূত্র পরানো হয় মহিলাদের, এর পিছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
মঙ্গলসূত্র খারাপ নজর থেকে রক্ষা করে
বিয়ের সময় সবার চোখ থাকে কনের দিকে। এ কারণে পাত্রীর নজর লাগার ভয় থাকে। মঙ্গলসূত্রে বাঁধা কালো মুক্তা অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। মঙ্গলসূত্র অশুভ নজর থেকে রক্ষা করে, এই বিশ্বাসের কারণেই বিয়ের সময় কনে মঙ্গলসূত্র পরেন। মঙ্গলসূত্র সম্পর্কে এটিও বিশ্বাস করা হয় যে এটি স্বামীর উপর আসা ঝামেলা দূর করে।
স্বামীর জন্য প্রেমের প্রতীক
মঙ্গলসূত্রের সাথে একটি সোনার দুল লাগানো আছে। শাস্ত্রে বলা আছে সোনা পরলে শরীর শুদ্ধ হয়। স্নানের সময় সোনার স্পর্শে যে জল শরীরে পড়ে তা পাপ থেকে মুক্তি দেয়। মঙ্গলসূত্রে ময়ূরের প্রতীক তৈরি করা হয়, যা স্বামীর প্রতি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও দুলের উপর আরো কিছু চিহ্ন তৈরি করা হয়েছে যা মন্দ চোখ থেকে রক্ষা করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
মঙ্গলসূত্র আনুগত্য বাড়ায়
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সোনা বৃহস্পতির প্রভাবে রয়েছে। বৃহস্পতি গ্রহকে বিবাহিত জীবনে সুখ, সম্পদ এবং জ্ঞানের কারক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটা ধর্মেরও একটা ফ্যাক্টর। কালো রঙকে শনির প্রতীক মনে করা হয়। শনি স্থিতিশীলতা এবং আনুগত্যের গ্রহ। বৃহস্পতি এবং শনির মধ্যে সমান সম্পর্কের কারণে, মঙ্গলসূত্র বিবাহিত জীবনে সুখ এবং স্থিতিশীলতা আনতে বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন
এই ধরণের কাজ করলে পরিবার-সমাজের চোখে ছোট হয়ে যায় মানুষ, জেনে নিন চাণক্য নীতির সারাংশ
বিয়ের প্রস্তাব আসতে পারে এই দুই তারিখের জাতক-জাতিকার কাছে, দেখে নিন আজকের প্রেমের রাশিফল
অর্থ লাভ আর জীবনের বাধা দূর করতে রোজ সকালে এই কাজটি করুন, শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী রইল উপায়