জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যাদের কুণ্ডলীতে এই যোগ থাকে, তাদের জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই মানুষগুলো ভাগ্যের সাপোর্টও পায় না। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, এই লোকদের হাতে টাকা-পয়সা নেই। দারিদ্র্য নিয়েই তাদের জীবন কাটাতে হচ্ছে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে যখনই কোনও শিশুর জন্ম হয়, তখনই তার কুণ্ডলীতে শুভ ও অশুভ উভয় যোগ থাকে। জন্মকুণ্ডলীতে গঠিত এই যোগগুলির প্রভাব একজন ব্যক্তির জীবনে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এমনই একটি অশুভ যোগ হল শপিত যোগ। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যাদের কুণ্ডলীতে এই যোগ থাকে, তাদের জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই মানুষগুলো ভাগ্যের সাপোর্টও পায় না। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, এই লোকদের হাতে টাকা-পয়সা নেই। দারিদ্র্য নিয়েই তাদের জীবন কাটাতে হচ্ছে।
এই দুটি গ্রহের মিলনে শপিত যোগ গঠিত হয়
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাহু ও শনির মিলনে রাশিফলের অভিশপ্ত দোষ তৈরি হয়। জ্যোতিষীরা বলেন, এই যোগ বিভিন্ন বাড়িতে বিভিন্ন ফল দেয়। রাহু ও শনি যদি কুণ্ডলীতে দুর্বল হয় তবে এই যোগের ফল অত্যন্ত খারাপ হবে। একইসঙ্গে বলা হয় যে, পূর্বজন্মে খারাপ কাজের কারণে একজন মানুষকেও এই দোষের সম্মুখীন হতে হয়।
জীবনের উপর এই প্রভাব
বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে যার কুণ্ডলীতে যোগের অভিশাপ রয়েছে তাকে তার জীবনে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ব্যবসায় সফলতা নেই। শুধু তাই নয়, ব্যক্তির দাম্পত্য জীবনে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে যদি কোনও ব্যক্তির জীবনে দশম ঘরে এই যোগ তৈরি হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি বহুবার চাকরি হারাতে পারেন। অন্যদিকে দ্বাদশ ঘরে তৈরি হলে জেলও যেতে পারে।
অভিশপ্ত দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রতিকার
আপনার রাশিতে যদি অভিশপ্ত দোষ থাকে, তাহলে প্রতি সোমবার দুধ, দই ও মধু দিয়ে শিবকে অভিষেক করুন।
এর পাশাপাশি পাখিদের কালো ও সবুজ দানা খাওয়ানোও উপকারী।
অভিশপ্ত দোষ থেকে মুক্তি পেতে শনি ও রাহুর মধ্যে মন্ত্র জপ করুন।
কালো কুকুরকে ঘি ভরা রুটি খাওয়ালেও দোষ দূর হয় বা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমে যায়।
প্রতি শনিবার শনি চালিসা পাঠ করলেও শুভ ফল পাওয়া যায়। শনি মূর্তির সামনে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালানোও উপকারী হবে।