বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হবে বৈশাখ অমাবস্যায়। আজ আমরা জানবো বৈশাখ অমাবস্যার সেই তিনটি ব্যবস্থা সম্পর্কে, যা মানুষকে কিছু দোষ থেকে মুক্ত করে। এটি ব্যক্তির উন্নতিকে প্রভাবিত করে। বৈশাখ অমাবস্যা সম্পর্কে জানুন।
হিন্দু ধর্মে অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়েছে। বৈশাখ মাসের অমাবস্যা ২০ এপ্রিল পড়ছে। এই দিনে স্নান ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়। কথিত আছে যে অমাবস্যার দিনে করা কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার একজন ব্যক্তিকে তিনটি বড় দোষ থেকে মুক্তি দেয়। জানিয়ে রাখি এবার বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হবে বৈশাখ অমাবস্যায়। আজ আমরা জানবো বৈশাখ অমাবস্যার সেই তিনটি ব্যবস্থা সম্পর্কে, যা মানুষকে কিছু দোষ থেকে মুক্ত করে। এটি ব্যক্তির উন্নতিকে প্রভাবিত করে। বৈশাখ অমাবস্যা সম্পর্কে জানুন।
বৈশাখ অমাবস্যা ২০২৩ তারিখ
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৈশাখ অমাবস্যা ১৯ এপ্রিল সকাল ১১ টা ২৩ থেকে ২০ এপ্রিল সকাল ৯ টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। বৈশাখ অমাবস্যা ২০ এপ্রিল সূর্যোদয়ের সময় উদযাপিত হবে।
বৈশাখ অমাবস্যায় করুন এই নিয়মগুলোর পালন-
- শনি দোষ, সাড়ে সতী-ধাইয়া দোষ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৈশাখ অমাবস্যার দিনে দক্ষিণ ভারতে শনি জয়ন্তীর উৎসব পালিত হয়। এই দিনটি শনিদেবের জন্মদিন। কথিত আছে যে এই দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করলে সাড়ে সাতি, শনি ধাইয়া ও শনি দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শনি সাড়ে সাতি, ধাইয়া ইত্যাদি মানুষের জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে এই দিনে শনিদেবের আরাধনা করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এই দিনে মন্দিরে গিয়ে কালো তিল, সরিষার তেল, কালো বা নীল কাপড় নিবেদন করুন। শনি কবচ ও শনি চালিসা পাঠ করুন।
পিতৃ দোষের প্রতিকার-
শাস্ত্রমতে, পিতৃ দোষকে রাশিফলের একটি বড় দোষ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে এর কারণে পুরো পরিবার অশান্ত থাকে এবং কোনও ব্যক্তির বাড়িতে উন্নতি হয় না। ব্যক্তির বংশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই বৈশাখ অমাবস্যার দিনে পিতৃপুরুষদের জল নিবেদন করুন এবং পিণ্ডদান করুন। এই দিনে পিতৃপুরুষদের ধ্যান করে দান করা হয়। পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হন এবং তাদের বংশধরদের আশীর্বাদ করেন। এটি পিত্র দোষ থেকে মুক্তি দেয়।
কালসর্প দোষের প্রতিকার-
কুণ্ডলীতে অন্যান্য সাতটি গ্রহের সঙ্গে রাহু-কেতুর বিশেষ অবস্থান কালসর্প দোষের সৃষ্টি করে। এতে আপনার কাজেও বাধা সৃষ্টি হয়, সাফল্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় বৈশাখ অমাবস্যার দিনে কালসর্প দোষের প্রতিকার করা উচিত।
আরও পড়ুন- ২০২৩ সালের সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ আপনার জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে, জেনে রাখুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন- এপ্রিলে হতে চলেছে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, এই ৪ রাশির জীবনে আসতে চলেছে বড় সমস্যা
আরও পড়ুন- মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ, জানুন গ্রহণে আর্থিক সংকট মুক্তির উপায়
বৈশাখ অমাবস্যার দিনে স্নানের পর সোনার সর্প-নাগিনীকে পূজা করার রীতি রয়েছে। এর পরে তাদের জলে প্রবাহিত হতে দিন। এই প্রতিকারটি করলে উপকার হবে। এছাড়াও কালসর্প দোষের শান্তির জন্য শিবের পূজা করুন। কথিত আছে, ভগবান শিবের পূজা করলে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে ব্যবস্থা করুন-
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৈশাখ অমাবস্যার দিন ভোর ৫ টা ৫১ মিনিট থেকে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ তৈরি হচ্ছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই যোগে করা কাজ একজন ব্যক্তিকে সফল করে তোলে। এর সঙ্গে ব্যক্তি ত্রুটি থেকে মুক্তি পায়।