সংক্ষিপ্ত
গ্রহণকে হিন্দুশাস্ত্র অশুভ বলে ধরা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি বা নেগেটিভ শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাব মানুষের ওপরেও পড়ে। কিন্তু তারও প্রতিকার হয়েছে হিন্দু শাস্ত্র।
চলতি বছর বছরের প্রথম সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণের মধ্যে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধান। ২০২৩ সালে প্রথম সূর্যগ্রহণ হবে ২০ এপ্রিল। আর চন্দ্রগ্রহণ হবে তার মাত্র ১৫ দিন পরে অর্থাৎ ৫ মে। দুটি গ্রহণ ভারত থেকে খালি চোখে দেখা যাবে না। কিন্তু এই সময় কতগুলি কাজ করলে পরিবারের ওপর থেকে আর্থিক ফাঁড়া কেটে যায়। জ্যোতিষ মতে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের বিশে। মাহাত্ম্য রয়েছে। তবে গ্রহণকে হিন্দুশাস্ত্র অশুভ বলে ধরা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি বা নেগেটিভ শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাব মানুষের ওপরেও পড়ে। কিন্তু তারও প্রতিকার হয়েছে হিন্দু শাস্ত্র। যা গ্রহণের সময় করলে পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। আর্থিক সংকট থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে।
১.প্রথমত গ্রহণের সময় ভুলেও পুজোপাঠ করবেন না। এই সময়টা খাবার খাওয়া আর রান্না করা থেকে বিরত থাকুন। তাহলে নেতিবাচকশক্তির প্রভাব কম পড়বে।
২. গ্রহণের পরে বাড়ির সর্বত্র গঙ্গা জলের ছড়া দিতে পারেন। তাতে নেগেটিভ শক্তি দূর হয়।
৩. ঋণের বোঝা কমাতে চন্দ্রগ্রহণের সময় একটি তালা কিনে তা খোলা আকাশের নিচে রেখেদিন। তারপর গ্রহণ শেষ হয়ে গেলে সেই তালা মন্দিরে রেখে দিয়ে আসুন। হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয় তাতে ঋণের বোঝা কমে যায়।
৪. জন্মছকে গ্রহদোষ কাটাতে দুধ, চাল , মিষ্টি কোনও দরিদ্র মানুষকে দান করতে সমস্যার সমাধান হয়।
৫. শনি, রাহু আর কেতুর প্রভাবে কেরেয়ারে বাধা তৈরি হয়। সেই বাধা দূর করতে পায়েস তৈরি করে গরুকে তা প্রদান করতে পারেন গ্রহণের সময়।
৬. আর্থিক উন্নতি করতে চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় একটি রুপোর টুকরো দুধ আর গঙ্গাজলে ডুবিয়ে রেখে দিন। গ্রহণ শেষে সেটি তুলে একটি লাল কাপড়ে মুড়ে আলমারিতে রেখে দিন । তাহলে কোনও দিনও আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে হবে না।
৭. গ্রহণের সময় কাজে বাধা দূর করতে একটি জবা ফুল খোলা আকাশের নিচে রেখে দিতে পারেন। গ্রহণের পরে তা নদী বা পুকুরে ভাসিয়ে যে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে সেই কাজটিক কথা বলুন। মনে করা হয় এসে সমস্যার সমাধান হয়।
৮. চন্দ্রগ্রহণের সময় চন্দ্রদেব আর সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যদেবের আরাধানা করতে শুভফল পাওয়া যায় বলে হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়।
৯. গ্রহণের সময়ে অনেকেই রাহু ও কেতুকেও তুষ্ট রাখতে পায়েস অর্পণ করেন। তাকে কেরিয়ারে আসা অযাচিত বাধা দূর হয়।
১০. গ্রহণের সময়ে অবশ্যই ঘরে একটি তুলসীপাতা রেখে দিতে পারেন। তাহলে নেতিবাচক শক্তির প্রকোপ থেকে পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে পারবেন।