সংসার সুখের করার জন্য এই ১০টি বাস্তু নিয়ম মেনে চলার উচিৎ প্রত্যেক বাড়ির সদস্যদের।
সংসার সুখের করার জন্য এই ১০টি বাস্তু নিয়ম মেনে চলার উচিৎ প্রত্যেক বাড়ির সদস্যদের। তাহলে দাম্পত্য জীবন যেমন সুখের হয় তেমনই সুখের হয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক। প্রেম এবং সম্পর্ককে উন্নত করা যায় কী করে সেই সম্পর্কে আপনাকে বেশ কিছু উপদেশ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্র।
১। আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম চতুর্ভুজে মাস্টার বেডরুমটি রাখুন। দক্ষিণ-পশ্চিম পৃথিবীর উপাদানের সাথে যুক্ত, যা স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘায়ু প্রতিনিধিত্ব করে, একটি সফল এবং প্রেমময় সম্পর্কের মূল কারণ।
২। শোওয়ার ঘরে বিছানাটি এমনভাবে রাখুন যাতে এটি দক্ষিণ বা পশ্চিম দেয়ালের বিপরীতে থাকে। এই প্লেসমেন্ট অংশীদারদের মধ্যে প্রেম এবং মানসিক বন্ধন বাড়াতে বিশ্বাস করা হয়।
৩। প্রেমের সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য শোওয়ার ঘরের রঙ খুব গুরুত্বপূর্ণ। হালকা প্যাস্টেল বা নরম মাটির টোন। প্রেম, একতা এবং ইতিবাচকতার প্রতীক শিল্পকর্ম বা চিত্র দিয়ে ঘরটি সাজান।
৪। শোওয়ার ঘর পরিষ্কার এবং সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। শয়নকক্ষে বিশৃঙ্খলতা ঝামেলা তৈরি করতে পারে এবং আপনার সম্পর্কের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৫।আপনার বাড়িতে ইয়িন এবং ইয়াং শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখুন। এই ভারসাম্য অর্জন করতে আপনার সজ্জায় নরম, বাঁকা আকৃতি এবং আরও কাঠামোগত, কৌণিক আকারের সংমিশ্রণ ব্যবহার করুন।
৬। বিছানার উপরে সরাসরি কোন বাধা বা ভারী বিম রাখবেন না। এগুলি সম্পর্কে বাধা তৈরি করে। নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়ায়।
৭। শোবার ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। প্রাকৃতিক আলো পছন্দ করা হয়। সূর্যের আলো প্রবেশ করার জন্য দিনের বেলা পর্দা এবং খড়খড়ি সহজে খোলা যায় তা নিশ্চিত করুন
৮। বেডরুমে ছুরি বা কাঁচির মতো ধারালো জিনিস রাখবেন না। এগুলি সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে পারে
৯। ঘরটি ভালোভাবে বাতাস চলাচল করে এবং তাজা রাখুন। ল্যাভেন্ডার, গোলাপ বা চন্দন কাঠের মতো প্রাকৃতিক সুগন্ধ শিথিলতা এবং ভালবাসাকে উন্নীত করতে পারে।
১০। দাম্পত্য জীবনে পৃথক বলে কিছু নেই। কিন্তু সংসার সুখের হওয়ার জন্য প্রত্যেকেরও একটি নির্দিষ্ট স্থান চাই। ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রয়োজন হয়। তারই ব্যবস্থা কিন্তু একসঙ্গে থাকলেও শোওয়ার ঘরেই করতে হয়।