বাস্তু নিয়ম কিন্তু প্রযোজ্য পশুপাখিদের জন্য। পরিবারের জন্য যেখন কিছু পশু ও পাখিকে শুভ বলে বাস্তুশাস্ত্রে বিধান দেওয়া হয়েছে তেমনই অশুভ বিধান রয়েছে কিছু পশুপাখির জন্য।
বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী বলে দেওয়া যায় কোনও বাড়ির জন্য কোনটা শুভ আর কোনটা অশুভ। বাস্তু নিয়ম যদি মানা না হয় তাহলে পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের একাধিক বিপদের সামনে পড়তে হয়। বাস্তু নিয়ম কিন্তু প্রযোজ্য পশুপাখিদের জন্য। পরিবারের জন্য যেখন কিছু পশু ও পাখিকে শুভ বলে বাস্তুশাস্ত্রে বিধান দেওয়া হয়েছে তেমনই অশুভ বিধান রয়েছে কিছু পশুপাখির জন্য। আর অশুভ পশুপাখি যদি আপনার বাড়িতে আসে তাহলে বড় ধরনের সর্বনাশ হতে পারে। আর্থিক সংকট থেকে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু অশান্তির মত ঘটনাও ঘটতে থাকে। তাই বাড়িতে এই দুটি প্রাণীকে কখনই ঢুকতে দেবেন না।
পায়রা-
বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী পায়রাতে অশুভ পাখি হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ পায়রার সঙ্গে রাহুর যোগ রয়েছে। আর সেই কারণে পায়রা বাড়িতে এলে তা পরিবারের সদস্যদের জন্য শুভ হিসেবে গন্য করা হয় না। বলা হয় পায়রা যদি বাড়িতে আসে তাহলে তা অসময় বয়ে নিয়ে আসে। আর্থিক সমস্যা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অশান্তি সবকিছু শুরু হয়ে যায়। পরিবারের মান সম্মানও রাহুর গ্রাসে চলে যায়। পায়রাকে কখনই বাড়িতে বাসা তৈরি করতে দেবেন না। পায়রা পুশবেনও না। পরিবর্তে বাড়িতে ঘুঘু পাখিতে স্বাগত জানান। এটি পরিবারের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।
শিয়াল-
এটিও অশুভ প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয় বাস্তু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী। শিয়ালে সাধারণত বাড়িতে আসে না। কিন্তু যদি বাড়ির আশেপাশে দেখেন তাহলেও দ্রুত তাড়িয়ে দিন। শিয়ালের ডাকও কিন্তু শুভ নয়। বাস্তু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী মনে করা হয় শিয়ালের ডাক মৃত্যুর বার্তা নিয়ে আসে। জ্যোতিষ অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে টানা তিন থেকে চার দিন শিয়ালের ডাক শোনে তাহলে তার সামনে বিপদ রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেয়।