জেনে রাখা ভালো যে বাস্তু সরাসরি আপনার সিঁড়ির সাথে সম্পর্কিত, প্রায়শই সিঁড়ির সংখ্যাও বাস্তু ত্রুটির কারণ হয়ে ওঠে এবং সিঁড়ির সংখ্যা সর্বদা বিজোড় হওয়া উচিত অর্থাৎ ৭, ১১, ২১, ২৫।
প্রতিটি বাড়ি বা ফ্ল্যাটেই সিড়ি থাকে। সেই সঙ্গে ওপরে ওঠার বা নীচে নামার সুবিধার জন্য রেলিং থাকে। রেলিং ছাড়া সিঁড়ি প্রায় হয় না বললেই চলে, যদি বা হয় সেটি বেশ বিপজ্জনক হয়। আপনি অবশ্যই দেখেছেন রেলিং ছাড়া সিঁড়ি দেখা য়ায় না। আজ আমরা আপনাকে সিঁড়ি সম্পর্কিত বিশেষ বাস্তু নিয়ম সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জানেন কি সিঁড়ির দুই পাশে রেলিং কেন তৈরি করা হয়।
জেনে রাখা ভালো যে বাস্তু সরাসরি আপনার সিঁড়ির সাথে সম্পর্কিত, প্রায়শই সিঁড়ির সংখ্যাও বাস্তু ত্রুটির কারণ হয়ে ওঠে এবং সিঁড়ির সংখ্যা সর্বদা বিজোড় হওয়া উচিত অর্থাৎ ৭, ১১, ২১, ২৫।
বলা হয় সিঁড়িতে রেলিং তৈরি করা হয় যাতে বাস্তুর ত্রুটি দূর করা যায়, তাই রেলিং সবসময় সিঁড়িতে তৈরি করা হয় এবং সিঁড়ির ভারসাম্য রাখতেও রেলিং ব্যবহার করা হয়, এটি আপনার বাস্তুর ত্রুটিগুলিকেও ভারসাম্য বজায় রাখে।
কথিত আছে, মাটির পাত্রে জল ভরে মাটিতে চেপে ধরলে সিঁড়ি সংক্রান্ত ত্রুটি দূর হয়। আমরা যদি অন্য একটি প্রতিকারের কথা বলি, তাহলে ছাদে একটি মাটির পাত্রে জল প্রতিদিন রাখতে হবে এবং পাখির জন্য অন্য একটি পাত্রে জল রাখতে হবে। এই প্রতিকার করলে সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
বাস্তুশাস্ত্রে সিঁড়ি তৈরির জন্য কিছু নিয়ম বলা হয়েছে, যা মেনে চললে পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। সঠিক পথে তাদের নির্মাণ সেই বাড়িতে বসবাসকারী সদস্যদের জন্য সাফল্যের পথও খুলে দিতে পারে। বাস্তু অনুসারে নির্মিত সিঁড়ি থেকে নির্গত শক্তি এতটাই শক্তিশালী যে এটি সাফল্যের পথে অনেকাংশে প্রভাব ফেলে।
উল্লেখ্য, বাস্তুতে সিঁড়ির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিমে অর্থাৎ দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পৃথিবীর উপাদান প্রাধান্য পায়, তাই এখানে সিঁড়ি তৈরি করলে এই দিকের ওজন বাড়ে, যা বাস্তুর দিক থেকে খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এই কারণেই এই দিকে সিঁড়ি তৈরি করা সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়, এটি সম্পদ বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্য ভাল রাখে। দক্ষিণে নির্মিত সিঁড়ি বাসিন্দাদের জন্য খ্যাতি এবং সৌভাগ্যের কারণ। অন্যদিকে, পশ্চিম দিকে তৈরি করা উপকারী ফল দেয়। স্থানের অভাব থাকলে উত্তর-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পূর্ব কোণে নির্মাণ করা যেতে পারে।