কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অশুভ অবস্থান মানুষকে নানা ধরনের ঝামেলায় ফেলে। পীড়িত মঙ্গল অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে। এই কারণেই মঙ্গলকে নিষ্ঠুর গ্রহও বলা হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গলকে শক্তি, ভূমি, সাহস ও বীরত্বের কারক বলে মনে করা হয়। কুণ্ডলীতে মঙ্গল ভালো অবস্থানে থাকলে ব্যক্তি অত্যন্ত সাহসী ও অপরাজেয় হয়। যে কোনও কাজ সে নির্ভয়ে করে। কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অশুভ অবস্থান মানুষকে নানা ধরনের ঝামেলায় ফেলে। পীড়িত মঙ্গল অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে। এই কারণেই মঙ্গলকে নিষ্ঠুর গ্রহও বলা হয়।
মাঙ্গলিক দোষের প্রভাব-
যদি মঙ্গল কুণ্ডলীতে দুর্বল থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি সর্বদা কোনও না কোনও সমস্যায় পড়েন। পীড়িত মঙ্গলের প্রভাবে কোনও ব্যক্তি কোনও দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। এই ধরনের ব্যক্তিদের পারিবারিক জীবনে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে দাম্পত্য জীবনের জন্য মঙ্গল দোষ খুবই অশুভ বলে মনে করা হয়। এই ত্রুটির কারণে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি লেগেই থাকে। মাঝে মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে।
পীড়িত মঙ্গল শত্রুদের কাছ থেকে পরাজয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ, ঋণ ইত্যাদির মতো সমস্যাও তৈরি করে। মঙ্গল যদি কোনও পীড়িত অবস্থায় থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই ধরনের ব্যক্তিরা স্বল্পমেজাজ এবং খিটখিটে হয়ে ওঠে। তারা নতুন কোনও কাজ শুরু করতে পারে না।
মঙ্গলের অশুভ সংমিশ্রণ-
কুণ্ডলীতে রাহুর সঙ্গে মঙ্গল থাকলে অঙ্গারক যোগ তৈরি হয়। এই সংমিশ্রণ দুর্ঘটনা ঘটায়। এই যোগের ফলে রক্ত সংক্রান্ত গুরুতর সমস্যায় পড়তে হতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মঙ্গলবার উপবাস করলে অঙ্গারক যোগের অশুভ প্রভাব কমে যায়।
মঙ্গল দ্বারা গঠিত দ্বিতীয় অশুভ যোগ হল মঙ্গল দোষ। রাশিফলের প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে মঙ্গল থাকলে এই ত্রুটি তৈরি হয়। মঙ্গল দোষের সময় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মাঙ্গলিক বলা হয়। এই ত্রুটি বিবাহের জন্য খুব অনুকূল নয়। যারা মঙ্গল দোষের প্রভাবে আছেন তাদের প্রতিদিন হনুমানের পুজা করা উচিত।
মঙ্গল দ্বারা গঠিত তৃতীয় অশুভ যোগ হল নিচু যোগ। এই যোগে মঙ্গল কর্কট রাশিতে দুর্বল হয়। যাদের রাশিতে নিচু মঙ্গল যোগ আছে তাদের আত্মবিশ্বাস ও সাহসের অভাব রয়েছে। এই অশুভ সংমিশ্রণ এড়াতে, তামা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মঙ্গল দ্বারা গঠিত চতুর্থ অশুভ যোগ হল শনি মঙ্গল যোগ। একে অগ্নি যোগও বলা হয়। যখন এই যোগ তৈরি হয়, তখন অনেক সময় একজন ব্যক্তিকে প্রাণঘাতী ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। এটি এড়াতে প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আপনার বাবা-মায়ের পা স্পর্শ করুন