সোমবার দিনটা চন্দ্র দেবতা এবং ভগবান শিবের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত বলে বিশ্বাস করা হয়। হিন্দুধর্ম অনুসারে সোমবার হল পরমেশ্বর ভগবান শিবের প্রিয় বার।
জ্যোতিষশাস্ত্র (Astrology) অনুসারে, গ্রহগুলি (Stars) মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে। সপ্তাহের (week) প্রতিটি দিন একটি গ্রহের (Certain Star) জন্য নির্ধারিত হয়। সোমবার (Monday) দিনটা চন্দ্র দেবতা (Lord Moon) এবং ভগবান শিবের (Lord Shiva) সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত বলে বিশ্বাস করা হয়। হিন্দুধর্ম অনুসারে সোমবার হল পরমেশ্বর ভগবান শিবের প্রিয় বার। অধিকাংশ শৈব হিন্দুরা সোমবারে শিব প্রিয় ব্রত পালন করেন।
প্রতি সোমবার শৈবদের কাছে অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার শিব হলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এক দেবতা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-লয়রূপ তিন কারনের কারন। তাই মনে করা হয় জীবনের যে কোনও জটিল থেকে জটিলতর সমস্যায় দেবাদিদেব মহাদেব কে স্মরণ করলে সহজেই সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।
সোমবার জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা খুব চঞ্চল হন। তারা সবকিছুতে দ্রুত ও বড় স্বপ্ন দেখেন। কারোর চাপে থাকতে চান না। নিজেকে ভালোবাসেন। এমন অবস্থায় ভগবান শিবের আরাধনা করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
সোমবার জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের সর্বদা ভগবান শিবকে খুশি রাখা উচিত কারণ তিনি চন্দ্রদেবকে তাঁর মাথায় শোভা দিয়েছেন এবং শনিদেবও শিবের শিষ্য, তাই তাঁর আশ্রয়ে গিয়ে অশ্বত্থ গাছের সেবা করলে আপনি ঝামেলা থেকে রক্ষা পাবেন।
প্রতি সোমবার মহাদেব-কে তুষ্ট করতে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি কী কী-
সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্নানের জলে কালো তিল দিয়ে স্নান সারুন। শাস্ত্র মতে, কালো তিল দিয়ে স্নান করলে শরীর শুদ্ধ হয়।
এরপর মন্দিরে বা বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকলে তা পুজো করার প্রস্তুতি নিন। শিবলিঙ্গ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। প্রথমে দুধ দিয়ে স্নান করান।
এরপর শিবলিঙ্গে মধু ও ঘি দিয়ে একসঙ্গে আবার ভালো করে শিবলিঙ্গ স্নান করান। এরপর গঙ্গাজল দিয়ে আবার স্নান করান।
এরপর নিঁখুত বেলপাতা, ফুল দিয়ে পুজো করুন। অপরাজিতা ফুল অবশ্যই রাখবেন। ধূপ ধুনো জ্বেলে মহাদেবের পুজো করুন। ওম নমঃ শিবায়ঃ মন্ত্র উচ্চারণ করুন।
এরপর শিবলিঙ্গের উপর চন্দনের ফোঁটা দিয়ে দিন। বাতাসা ও মনের মত ফল ও মিষ্টি দিয়ে পুজো সেরে ফেলুন। আবশ্যই যে দিন মহাদেবের পুজো করবেন, সেই দিন নিরামিষ খাবেন।
সোমবার এই পদ্ধতিতে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করুন আর কাটিয়ে উঠুন জীবনের জটিল থেকে জটিলতর সমস্যা।
বাড়িতে ক্ষীর তৈরি করুন, অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করুন, তারপর নিজে খান এবং পরিবারের সদস্যদেরও খাওয়ান।
অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করুন।