শিশুদের দুধের দাঁত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই দাঁতগুলো ফেলে দেওয়ার পর খুব সাবধানে নেওয়া উচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, দুধের দাঁতে ডেন্টাল স্টেম সেল থাকে এবং সেই স্টেম সেলের সাহায্যে ভবিষ্যতে শিশুদের অনেক রোগের সমাধান করা যায়।
শিশুদের জীবনে অনেক পর্যায় আসে যার মধ্যে শিশুদের দুধের দাঁত পড়ে যায় এবং দাঁত ফিরে আসে। সাধারণত ছয় বছর বয়সে শিশুদের দুধের দাঁত পড়ে যেতে শুরু করে এবং সেই দাঁতগুলো স্থায়ী দাঁত দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দুধের দাঁতের চেহারা এবং পড়ে যাওয়া উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, দাঁত পড়ে যাওয়ার পর সেই দাঁতগুলির কী করা উচিত তা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
জ্যোতিষশাস্ত্রে দাঁতের গুরুত্ব
জ্যোতিষশাস্ত্রের শাখা সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে, একজন ব্যক্তির শরীরের প্রতিটি অঙ্গ তার গুণ, ত্রুটি এবং ভাগ্য নির্ধারণ করে। শাস্ত্র মতে, দাঁতের গঠন এবং তার রঙের ভিত্তিতে ব্যক্তির ভাগ্য, সুখ, দুঃখ, জ্ঞান ও ধন লাভ সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। পরিষ্কার এবং সুন্দর দাঁত একজন ব্যক্তিকে ভাগ্যবান করে এবং একজন ব্যক্তি তার জ্ঞান শক্তি দিয়ে অন্যকে আলোকিত করে।
শিশুর দুধের দাঁত কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শিশুদের দুধের দাঁত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই দাঁতগুলো ফেলে দেওয়ার পর খুব সাবধানে নেওয়া উচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, দুধের দাঁতে ডেন্টাল স্টেম সেল থাকে এবং সেই স্টেম সেলের সাহায্যে ভবিষ্যতে শিশুদের অনেক রোগের সমাধান করা যায়। বিজ্ঞানের অগ্রগতি অনুসারে, স্টেম সেল ব্যাংকে দুধের দাঁতের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ভবিষ্যতেও একটি ভাল সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এবার এর গুরুত্বের কথা বলা যাক, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী দুধের দাঁত পড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম হারানো দাঁতটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, একটি হারানো দাঁত একজন ব্যক্তির আচরণ এবং মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। প্রথম পতিত দাঁতটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে, এটি একজন ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে একা করে দেয় এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সে মানসিক সমস্যায় পড়ে। এর পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের ওপর এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে।
কিভাবে দুধের দাঁতের যত্ন নেবেন
প্রথমে পড়ে যাওয়া দুধের দাঁত সাদা তুলোয় মুড়িয়ে বাঁশ গাছের গোড়ায় পুঁতে দিন। বাঁশের জ্যোতিষশাস্ত্রও খুব জনপ্রিয়। শাস্ত্র মতে বাঁশের বংশ অগ্রগতির লক্ষণ। বাঁশঝাড়ের শিকড়ে চেপে মানুষের জীবনে শান্তি আসে এবং তা আগামী প্রজন্মের মধ্যে উন্নতির যোগাযোগও করে।