ভগবান নারায়ণের বামন অবতারকে বরুতিনী একাদশীতে উপাসনা করা হয়। এর পর শুরু হয় চতুরমাস। এই সময় ভগবান নারায়ণ বিশ্রামের জন্য নিদ্রায় যান। এই চতুরমাস চলাকালীন ভগবান নারায়ণ পৃথিবীর সমস্ত কাজ ভগবান শিবকে অর্পণ করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে চতুরমাসে, শিব দেবী পার্বতীর সঙ্গে পৃথিবী ভ্রমণ করেন। এরপর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে ভগবান নারায়ণ বিশ্রামের সময় দিক বদল করেন। তাই এই একাদশীকে পরিবর্তনিনী একাদশী বলা হয়। এই একাদশীকে পদ্ম একাদশীও বলা হয়।
আরও পড়ুন- বিশেষ এই দিনে সপ্তঋষির ব্রত, মুক্তি দেয় সমস্ত পাপ থেকে
পরিবর্তনিনী একাদশীতে উপাসনা পুরাণে ত্যাগের উপাসনা বলে অভিহিত। এই একাদশীতে ভগবান নারায়ণর বামন অবতারের পুজো করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে একাদশী উপবাস পালন করলেই সকল প্রকার পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একাদশী উপবাসের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে মহাভারতের গল্পে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুধিষ্ঠির এবং অর্জুনকে একাদশীর মহা ব্রতের কথা বলেছিলেন। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীরও পুজো করা হয়। এই দিনে লক্ষ্মীর উপাসনায় অর্থের ঘাটতি দূর হয়।
আরও পড়ুন- ভাদ্র মাস কেমন প্রভাব ফেলবে সিংহ রাশির উপর, দেখে নিন
একাদশী উপবাসের উপাসনার দশমী তিথি থেকে শুরু হয়। একাদশীর শুভ দিনে ব্রতের পালন করা হয়। পরিবর্তনিনী একাদশীর তিথিতে স্নানের পরে পুজো শুরু করুন। ভগবান নারায়ণের নাম করুন এবং হলুদ ফুল ও বস্ত্র দান করে তাঁর উপাসনা করুন। পুজোতে তুলসী পাতা, ফল ও তিল-এর ব্যবহার করুন। দ্বাদশী সম্পন্ন হওয়ার তিথিতে, অর্থাউপবাস ভঙ্গ করুন।
পরিবর্তনিনী একাদশী পূজার সময়- একাদশী তারিখ: ২৮ আগস্ট শুক্রবার ২০২০, সকাল ৮ টা বেজে ৩৮ মিনিট।
একাদশী শেষ হবে: ২৯ আগস্ট, শনিবার ২০২০ সকাল ৮ টা বেজে ১৭ মিনিটি।
একাদশী ব্রত পালনের সময়: ২৯ আগস্ট, শনিবার ২০২০ ভোর ৫ টা বেজে ৫৯ মিনিট থেকে সকাল ৮ টা বেজে ২১ মিনিট পর্যন্ত।