এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পুজোর পর নিয়মিত শঙ্খে ফুঁ দিলে বাড়ির নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং গৃহ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদও পাওয়া যায়। ঘরে শঙ্খ ফুঁ দেওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি।
হিন্দুধর্মে, শঙ্খকে দেবী লক্ষ্মীর বাসস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পুজোর পর নিয়মিত শঙ্খে ফুঁ দিলে বাড়ির নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং গৃহ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদও পাওয়া যায়। ঘরে শঙ্খ ফুঁ দেওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। জেনে নিন সেই বিষয়গুলো কি কি-
শঙ্খ বাজানোর নিয়ম-
১) বাড়িতে যদি শঙ্খ থাকে তবে একটি নয় দুটি শাঁখা রাখুন। একটি শঙ্খ ফুঁকের জন্য এবং অন্যটি অভিষেক করার জন্য রাখুন।
২) ভগবানের আরাধনা করার সময় শঙ্খ ভুলেও বাজাবেন না। এতে করে সেই পুজোর কোনও শুভ ফল দেয় না।
৩) বরং পুজোর আগে বা পুজো শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শঙ্খে ফুঁ দিয়ে পুজো শুরু করা উচিত নয়।
৪) পূজার ঘরে একটি মাত্র শঙ্খ রাখুন, যা পূজায় ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় শঙ্খটিকে একটি সাদা কাপড়ে মুড়ে পূজা ঘর বা মন্দিরের চারপাশে রাখুন।
৫) এটা বিশ্বাস করা হয় যে শঙ্খ থেকে ভগবান বিষ্ণুকে জল নিবেদন করা শুভ। কিন্তু ভগবান শিব ও সূর্যদেবকে ভুলেও শঙ্খ থেকে জল নিবেদন করবেন না।
৬) শঙ্খে ফুঁ দেওয়ার আগে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে নিন এবং গঙ্গাজল না থাকলে জলও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭) পুজোর শঙ্খতে সব সময় জল ভরে রাখুন। নিয়মিত পুজোর পর সেই জল ঘরে ছিটিয়ে দিন। এর ফলে ইতিবাচক শক্তি থাকে এবং সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
৮) আপনার ব্যবহার করা শঙ্খ কাউকে ব্যবহার করার জন্য দেবেন না। আর অন্য কারও শঙ্খ এনে আপনার ঘরে ব্যবহার করবেন না।
৯) শঙ্খ শুধুমাত্র সকাল এবং সন্ধ্যায় বাজানো উচিত। এ ছাড়া অন্য কোনও সময় শঙ্খ বাজানো উচিত নয়।
আরও পড়ুন: এই ফুলেই রয়েছে ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বরের বাস, সিন্দুকে রাখতেই বৃদ্ধি পায় আর্থিক উন্নতি
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের এই প্রাচীণ শিব মন্দির আজও রহস্যময়, শিবের চোখের জলে তৈরি এই মন্দিরের জলাশয়
আরও পড়ুন: মহাশিবরাত্রি ২০২২, রাশি অনুযায়ী জপ করুন মহাদেবের এই মন্ত্রগুলি, দূর হবে সকল বাধা বিপত্তি